এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল ১২৯ কোটি বা ১.২৯ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০.০২ বিলিয়ন ডলার। সোমবার (১১ মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে আকুর বিল পরিশোধের পর রোববার পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২০.০২ বিলিয়ন ডলার। এর আগে বুধবার (৬ মার্চ) দিন শেষে রিজার্ভ ছিল ২১.১৫ বিলিয়ন ডলার, আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের বিপিএম৬ মেথড অনুযায়ী ২৫.২৩ বিলিয়ন ডলার। এখান থেকে বিপিএম ৬ মেথডে ৫.২১ বিলিয়ন ডলার বাদ দিয়ে মোট রিজার্ভ ২০.০২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে গত ৭ মার্চ আকুর এই দায় সমন্বয় করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, ডলার সংকটে গত বছরের সঙ্গে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ সেভাবে বাড়েনি। ফলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কখনো কমছে, আবার বাড়ছে।
আকু হচ্ছে- কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটি আন্ত-আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে এশিয়ার নয়টি দেশের মধ্যে যেসব আমদানি-রপ্তানি হয়, তা প্রতি দুই মাস পর নিষ্পত্তি হয়। তবে অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের লেনদেন তাৎক্ষণিকভাবে সম্পন্ন হয়। আকুর সদস্য দেশগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, ভুটান ও মালদ্বীপ।
এদিকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ডলার-টাকা অদলবদল বা সোয়াপ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে রিজার্ভের পতনের ধারা শ্লথ হয়েছে। নতুন এ পদ্বতির উপর ভিত্তি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ডলার ও টাকার অদলবদল করতে পারছে। এতে সর্বনিম্ন ৭ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিনের জন্য টাকা-ডলার অদলবদলের এ ব্যবস্থা চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের আগস্টে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাঁড়িয়েছিল। এরপর বিভিন্ন কারণে ডলার সংকট মেটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি, নতুন করে ঋণ কম পাওয়াসহ রিজার্ভ কমেছে। সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৯ কোটি ডলার, এডিবির ৪০ কোটি ডলার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাবে যোগ হওয়ায় রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার ছাঁড়িয়েছিল।