এক বছরে বিদেশে গেছে ৭ কোটি ৩২ লাখ ডলার

উচ্চ মূল্যস্ফীতি অর্থনৈতিক মন্দার ফলে দেশে দিন দিন ডলার সংকটের পরিমান বেড়েছে চিন্তায় ফেলার মত। আর্থিক এই সংকটে সাধারণ মানুষ সংসার চালাতে যেখানে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে থেমে নেই দেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় বিদেশে পুঁজি নেওয়ার প্রবণতা। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে যেসব উদ্যোক্তা বৈধভাবে বিদেশে পুঁজি নিয়েছে সম্প্রতি তাদের পুঁজি নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সম্প্রতি প্রকিাশিত হওয়া প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে পুঁজি নেওয়া হয়েছে ৭ কোটি ৩২ লাখ ডলার বা স্থানীয় মুদ্রায় ৮৬৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। তবে এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে পুঁজি নেওয়া হয়েছিল ৬ কোটি ৪৭ লাখ ডলার বা স্থানীয় মুদ্রায় ৬৮৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক বছরের তুলনায় বিদেশে পুঁজি নেওয়ার পরিমাণ বেড়েছে ৮৫ লাখ ডলার বা ১০০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। তবে এ প্রবণতা ডলারের হিসাবে বেড়েছে ১৩ দশমিক ১০ শতাংশ। টাকার হিসাবে পরিমাণে ১৪ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

এই তালিকা শুধু যারা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে পুঁজি নিয়েছে তাদের হিসাব। আর অনুমোদন ছাড়া এবং বিআইনিভাবে যে পুঁজি নেয়া হয়েছে তার হিসাব কয়েকশগুন বেমি রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, দেশ থেকে বিদেশে পুঁজি নিয়ে বিনিয়োগের যে নীতিমালা করা হয়েছে তাতে শুধু রপ্তানিকারকরাই পুঁজি বিনিয়োগ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে রপ্তানিকারকের হিসাবে ডলারের পর্যাপ্ত প্রবাহ থাকতে হবে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে বিশেষ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিদেশে পুঁজি নিয়ে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউস খুলতে পারে।

এ ছাড়াও ব্যাংকের এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত ১৮টি কোম্পানি বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে বিদেশে বিনিয়োগ করছে। তাছাড়া বিদেশে বিনিয়োগ নেওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশ খুব সাবধানে এগুচ্ছে। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে সরকার ১৯৪৭ সালের আইন সংশোধন করে একটি শর্ত যোগ করে বিদেশে বিনিয়োগ নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। কেবল রপ্তানি আয়ের বিপরীতে পর্যাপ্ত ডলারের প্রবাহ থাকলেই বিদেশে বিনিয়োগ নেওয়া যাবে। বর্তমানে ওই আইনের আওতায় ২২টির বেশি দেশে বাংলাদেশ থেকে বিনিয়োগ গেছে।