নতুন অর্থবছর ২০২৪-২৫-এর জাতীয় বাজেট সংসদে পাস হচ্ছে রোববার (৩০ জুন)। এর আগে শনিবার বিকেলে সংসদে অর্থ বিল উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং পরে সেটি সংসদে পাস হয়। সোমবার (১লা জুলাই) থেকে কার্যকর হবে নতুন এ বাজেট।
‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’-স্লোগান নিয়ে এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। দেশের ৫৩তম এই বাজেটের আকার বাড়ছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এটি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।
গত ৬ জুন দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। এরপর গত কয়েক সপ্তাহে, প্রস্তাবিত বেশকিছু নীতি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয় সংসদে। যার একটি কালো টাকা সাদা করার সুযোগ।
সংসদ ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এবারের বাজেটে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিনিয়োগে কর অব্যাহতির সুবিধা বহাল থাকছে। একই সাথে ব্যক্তি শ্রেণির সর্বোচ্চ আয়কর ৩০ শতাংশের বদলে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এর বাইরে, বড় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।
এবারের সামগ্রিক বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি মেটাতে বৈদেশিক উৎস থেকে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এক লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আগামী অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের। ব্যাংকিং খাত ছাড়াও নন-ব্যাংকিং খাত থেকে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের। এর মধ্যে সঞ্চয়পত্র থেকে নেওয়া হবে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।
বাজেট-উত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এবারের বাজেট শিগগিরই বাস্তবায়নযোগ্য। এবারের বাজেটে গরিব মানুষের স্বার্থ প্রতিফলিত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।