সরকারি লোকসানি সংস্থা গুলোকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ আইএমএফের

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি লোকসানি বড় বড় যেসব সংস্থাকে ভর্তুকি দিয়ে চালিয়ে রাখা হয় সেগুলোকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) । গ্যাস, বিদ্যুৎ ও সারের ভর্তুকি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও সংস্কার চেয়েছে সংস্থাটি।

সংস্থাটির এশীয় ও প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বাধীন একটি দল গত ২৬ অক্টোবর থেকে সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করছে। তারই ধারাবাহিকতায় সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সোমবার (৩১ অক্টোবর) তিনটি আলাদা বৈঠক করেছে আইএমএফের দল।

গত অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ১০টি প্রতিষ্ঠানের লোকসান পাঁচ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। পিডিবির পাশাপাশি লোকসানি অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি), বাংলাদেশ খাদ্য ও চিনি শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি), বাংলাদেশ রসায়ন শিল্প সংস্থা (বিসিআইসি), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থা (বিআরটিসি), বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন (বিটিএমসি), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)।

সংস্থাগুলোর ২০২১ ও ২০২২ সালের আর্থিক চিত্রের পাশাপাশি ২০২৩ সালের প্রক্ষেপণও আইএমএফের দলের কাছে তুলে ধরা হয়। আইএমএফের প্রতিনিধিদল বলেছে, এ লোকসান কমিয়ে আনার কৌশল নির্ধারণ করতে হবে এবং ধীরে ধীরে এদের কয়েকটিকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়াটাই ভালো হবে।

আইএমএফের কাছে গত জুলাইয়ে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। ঋণ নিয়ে আলোচনা করতেই সংস্থার দলটি এখন ঢাকায়। গতকালের বৈঠকে অর্থ বিভাগের তিন অতিরিক্ত সচিব মো. খায়রুজ্জামান মজুমদার, আরফিন আরা বেগম এবং সিরাজুন নূর চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন দল অংশ নেয়।