আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে ডিমের বাজার। গত এক মাস ধরে কমতে থাকা ডিমের দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। গত সপ্তাহেও যেখানে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হতো ১৪৮-১৫০ টাকায় আজ শুক্রবার (৩০ আগস্ট) তা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-১৬০ টাকায়। তবে স্থিতিশীল রয়েছে সবজির বাজার। গত এক সপ্তাহে দেশে কাঁচা মরিচের দাম রেকর্ড ছুঁয়েছে। কেজি প্রতি একহাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে বিভিন্ন এলাকার কাঁচাবাজারে। তবে চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন আজ শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় তা বিক্রি হচ্ছে ২০০-২৫০ টাকার মধ্যে।
পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে দেশের অন্তত ১১ জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে ডুবে গেছে বহু এলাকার ফসলি জমি। এরই মাজে কমতে শুরু করেছে বন্যার পানি। তবে কাঁচা শাক-সবজিসহ অন্যান্য পণ্য সরবরাহ অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে।
তবে কমেছে মুরগির মাংসের দাম, গত সপ্তাহে ১৭০-১৮০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম কমে আজ শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি কেজি ১০ টাকা কমে সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ আগের মতো ১১০ থেকে ১২০ টাকা দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাজার পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার রাজধানীর শান্তিনগর কাঁচাবাজারে কথা হয় জাহাঙ্গীর আলম নামের একজন ব্যবসায়ীর সাথে। তিনি বলেন, প্রতি সপ্তাহে বাজারে কোনো না কোনো পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখি দেখাই যায়। ব্যবসায়ীরা সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। কোনো ধরনের অজুহাত পেলেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়। এখন বন্যাকে পুঁজি করে কাঁচামরিচের দাম হাজার টাকায় পৌঁছেছে। এটা কোনো যুক্তি হতে পারে না। এর বিরুদ্ধে প্রশাসনের শক্ত অবস্থান তৈরি করতে হবে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ঢ্যাঁড়স ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা, ঝিঙে ৭০, পটোল ৮০, পেঁপে ৬০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া চালকুমড়া, লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা পিচে। তবে বরবটির দাম ২০ টাকা বেড়ে ১০০-১২০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। করলার কেজি ৮০-১০০ টাকা।
বাজারে এখন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা দরে। আর এক কেজি আলুর দাম রাখা হচ্ছে ৫৫ টাকা। এ ছাড়া বাজারে প্রতি কেজি রসুন ২০০ থেকে ২২০ টাকা, আদা ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, মোটা দানার মসুর ডাল ১১০ টাকা ও চিনি ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার কিছুটা কমেছে। বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছ ৩০০-৩৩০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ২০০ টাকা, কই ২৫০ টাকা, পাবদা ৪০০-৫০০ টাকা ও চিংড়ি ৬৫০-৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গরুর মাংস ৭৫০ টাকা এবং খাসি ১ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
তবে চালের বাজার এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল। এ বিষয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান দৈনিক খবর সংযোগকে বলেন, নিয়মিত বাজার তদারকির ফলে বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে চালের দামের বিষয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং কৃষি অধিদপ্তর ভালো বলতে পারবে। ধানের ভালো উৎপাদনের পরও কেন চালের দাম বেড়েছে সেই বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাওয়া উচিত সংবাদ কর্মীদের।