সবজিতে স্বস্তি, অস্থির চাল-মুরগির বাজার

বাজারে এখনো মিলছে শীতের সবজি। ফলে রমজানেও সবজির বাজারে স্বস্তি রয়েছে। তবে ঈদ সামনে রেখে বেড়েছে মুরগির দাম। মূল্য বৃদ্ধির তালিকায় মুরগির সঙ্গে রয়েছে চাল। এর বাইরে পেঁয়াজ-টমেটোসহ কিছু নিত্যপণ্যের দাম নাগালের মধ্যেই আছে।

শনিবার (২২ মার্চ) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে সবচেয়ে বেশি দামি সবজি হিসেবে প্রতি কেজি সজনে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। এছাড়া এখন মৌসুম না হওয়ায় বাজারে পটল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকায়। এছাড়া নতুন করে বেড়েছে বেগুনের দাম। আগে ৮০ টাকা তে বিক্রি হলেও বর্তমানে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এগুলো ছাড়া অন্য সবধরনের সবজির দামই বাজারে কম যাচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি ঝিঙা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, পেঁপে ৪০ টাকায়, শিম ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, গোল আলু ৩০ টাকা, ফুলকপি, বাঁধাকপি প্রতি পিস ২০-৪০ টাকা, ক্ষীরা ৫০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা। এছাড়া প্রতিপিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, টমেটো বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০ টাকায়।

vegetable 2

সজনে উচ্চ মূল্য সম্পর্কে বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে একেবারে নতুন এই সবজি। কেবল উঠতে শুরু করেছে, যে কারণে সরবরাহ কম, চাহিদা বেশি, সবমিলিয়ে এ সবজির দামই বর্তমানে বাজারে সবচেয়ে বেশি যাচ্ছে। 

চাকরিজীবী আফসার উদ্দিন খবর সংযোগকে বলেন, বাজারে কিছু সবজির দাম খুব বেশি হলেও অধিকাংশ সবজিগুলোর দাম স্বাভাবিক। মৌসুম না হওয়ায় হয়ত পটল, ঢেঁড়স, বরবটি, করলার দাম ১০০ টাকা বা তার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। আজ বেগুনের দাম বেশি। তবে বাকি সবধরনের সবজির দাম তুলনামূলক কম যাচ্ছে।

নগরীর যত্রাবাড়িতে বাজার করতে এসেছেন শফিকুর রহমান। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের প্রতি অভিযোগ করে সবজির দাম প্রসঙ্গে তিনি খবর সংযোগকে বলেন, বাজারে সবজির দামে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও কিছু কিছু সবজি অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে বিক্রেতারা। এর মধ্যে বেগুনের দাম হঠাৎ বেড়ে গিয়ে ১০০ টাকায় বা তার চেয়েও বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। এভাবে সিন্ডিকেট করে যারা দাম বাড়ায় তাদের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

যত্রাবাড়ি বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুস সালাম বলেন, এখন বাজারে সবজির দাম শীতের সময়ের মতোই তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এখন মৌসুম নয় এমন সবজিগুরোর দাম কিছুটা বেশি হলেও অন্য সবজিগুলোর দাম তুলনামূলক কম।

murgi

এদিকে, যত্রাবাড়ি, শনির আখড়া, সারুলিয়া, মেরাদিয়া বাজার ঘুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকায়। গেল সপ্তাহেও এই মুরগির দাম ছিল ১৯০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে। এছাড়া দাম বেড়ে পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়।

এ বিষয়ে বিক্রেতারা বলছেন, ঈদ সামনে রেখে মুরগির চাহিদা বেড়ে বেড়েছে। ফলে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় মুরগির দাম কিছুটা বাড়েছে।

শনির আখড়া বাজারের মুরগি বিক্রেতা শহীদ সরদার খবর সংযোগকে বলেন, ঈদ সামনে রেখে ব্রয়লার মুরগির চাহিদা বেড়লেও সরবরাহ কম। এতে মুরগির দাম কিছুটা বেড়েছে।

এদিকে অতিরিক্ত লাভের আশায় মিল পর্যায়ে প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) মিনিকেট চালের দাম ৫০০ টাকা বাড়িয়েছে। এতে খুচরা বাজারেও চালের মূল্য বাড়ছে। পরিস্থিতি এমন- কেজিপ্রতি মিনিকেট চাল কিনতে হচ্ছে ৯০ টাকা। ফলে ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে বিরাজ করছে অসন্তোস।