ঈদ উপলক্ষে জমে উঠেছে রাজধানীর মার্কেটগুলো। তবে এবার ইন্ডিয়ান পণ্য আমদানি না হওয়ায় দেশি পোশাকের চাহিদা গত বারের তুলনায় বেড়েছে। এবং দামটা একটু বেশি।
রাজধানীর মৌচাকের সেন্টার পয়েন্ট। এই মার্কেটটির প্রতিটি দোকানে বাচ্চাদের প্রায় সবধরনের পণ্যই পাওয়া যাচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, দাম এবং মান দুটোতে সেরা এই মার্কেটটি। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার দেশি পোশাকের চাহিদা অনেক বেড়েছে। তাই কিছুটা বাড়তি দাম দিয়েই কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
ক্রেতা মাসুদ রানা বলেন, রাজধানীর মৌচাকের সেন্টার পয়েন্টে বাচ্চাদের জন্য পোশাক কিনতে এসেছেন। সব সময় এই মার্কেট থেকেই বাচ্চাদের পোশাক কিনেন তিনি। এখানে ভালো পোশাক পাওয়া যায় এবং মানেও ভালো। দামটাও সাধ্যের মধ্যেই থাকে।
কুনসুমা রুমি নামের আরেক ক্রেতাকে নিজের জন্য কী কিনেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিজের জন্য এখনো কিছু কেনা হয়নি। বাচ্চাদের জন্য আগে কিনছি। নিজের জন্য কখনো ভাবা হয় না। বাচ্চাদের আনন্দেই আমাদের আনন্দ।
মার্কেটের কয়েকজন পোশাক বিক্রেতা জানান, দুপুর থেকে রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রচুর লোকের সমাগম হচ্ছে এই মার্কেটে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে ক্রেতাদের সমাগম বাড়তে থাকে। এই মার্কেটে বাচ্চাদের পর্যাপ্ত কালেকশন রয়েছে। ক্রেতারা নিজের পছন্দ অনুযায়ী পোশাক কিনছেন।
সেন্টার পয়েন্টের মদিনাজের নুর মোহাম্মদ বলেন, দশম রোজা থেকে শুরু হয়ে শেষ রোজা পর্যন্ত ঈদের বেচাকেনা হয়। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ক্রেতা বেশি থাকে। গতবারের তুলনায় এবার বেচাবিক্রি ভালো হচ্ছে। সবধরনের ক্রেতাই এখানে আসে। তবে মিড লেভেলের ক্রেতা বেশি আসে। এবার দেশি কাপড়ে চাহিদা বেশি হওয়ায় দামটা একটু বেশি।