‘খেলাপি ঋণ ছাড়ালো ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা’

বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের আসল চিত্র সামনে আসছে। লুকানো খেলাপি ঋণের আসল চিত্র সামনে আসায় আরও বেড়েছে খেলাপি ঋণ। দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ চলতি বছরের মার্চ প্রান্তিক শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ।

তিন মাস আগে গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকায়। মোট ঋণের যা ছিল ২০ দশমিক ২০ শতাংশ।

রোববার (১৫ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হালনাগাদ বিবরণী থেকে এ তথ্য উঠে এসেছে।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি ও নিয়মনীতি কঠোরভাবে প্রয়োগের ফলে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র একে একে সামনে আসছে। 

বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মনসুর বলেন, পাচারকৃত সম্পদ উদ্ধারে ধাপে ধাপে অগ্রসর হতে হবে। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া কোনো সম্পদ ফেরত আনা সম্ভব নয়। এজন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে আইনি নথিপত্র প্রস্তুত করতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা চাই, আদালতের মাধ্যমে যাচাই হোক, আমাদের দাবি যথাযথ কি না। আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই অর্থ উদ্ধার সম্ভব হবে।

তবে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতির কথাও তুলে ধরেন গভর্নর। তার ভাষায়, ‘আদালতের বাইরে সমঝোতার মাধ্যমেও অর্থ ফেরত আনার সুযোগ রয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় উভয় পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছাতে পারেন।

ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতার বিষয়েও গভর্নর বলেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ভালো। তারা আমাদের পরামর্শ ও সর্বাত্মক সহযোগিতা দিচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে এ বিষয়ে অগ্রগতি তুলনামূলক ধীর। দেশটিতে নতুন সরকার আসায় নীতিগত কাজ এখনও চলছে।

গত ৫ আগস্টের আগে ঋণ পরিশোধ না করেও বিভিন্ন উপায়ে নিয়মিত দেখানোর সুযোগ ছিল। তবে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর এখন সেই সুযোগ বন্ধ হওয়ায় এখন তারা খেলাপি। এরই মধ্যে এস আলম, বেক্সিমকোসহ শীর্ষ ঋণগ্রহীতাদের অনেকেই খেলাপিতে পরিণত হয়েছে।