জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত সরকারের

দেশের চলমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে যুক্তরাজ্য থেকে তিন কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই আমদানিতে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৪৪২ কোটি ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৩৮৮ টাকা।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট হতে এক কার্গো এলএনজি ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। যুক্তরাজ্যের মেসার্স টোটাল এনার্জি গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি দাম পড়বে ১১.৪৪ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৪৮০ কোটি ৬৭ লাখ ৯৮ হাজার ৭৯৬ টাকা।

এ ছাড়া, বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে একই বিধিমালা অনুসরণে আন্তর্জাতিক কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট থেকে এক কার্গো এলএনজি ক্রয়ের প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। যুক্তরাজ্যের মেসার্স টোটাল এনার্জি গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি দাম পড়বে ১১.৩৪ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৪৭৬ কোটি ৪৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২৪ টাকা।

একই প্রক্রিয়ায় আরও এক কার্গো এলএনজি ক্রয়ের প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেটিও যুক্তরাজ্যের মেসার্স টোটাল এনার্জি গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে কেনা হবে। প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়বে ১১.৫৪ মার্কিন ডলার। সে হিসেবে এক কার্গো এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৪৮৪ কোটি ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ২৬৮ টাকা।

সরকার বলছে, এলএনজির এই আমদানি বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্প এবং আবাসিক খাতে গ্যাস সরবরাহে সহায়ক হবে। এলএনজির বর্তমান বিশ্ববাজারে চাহিদা ও মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী বলেও মনে করছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।