রপ্তানি সহজ করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নীতিমালা 

বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি সহজ করতে নতুন নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে বৈশ্বিক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে রপ্তানি কারকরা বিজনেস-টু-বিজনেস-টু-কনজিউমার (বিটুবিটুসি) কাঠামোয় সরাসরি চূড়ান্ত ক্রেতার কাছে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। 

সোমবার (২৪ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ প্রজ্ঞাপন জারি করে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নতুন ব্যবস্থায় রপ্তানি কারকদের অবশ্যই বৈশ্বিক অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বা মার্কেটপ্লেসে নিবন্ধনের প্রমাণ এডি ব্যাংককে জমা দিতে হবে। রপ্তানি র ক্ষেত্রে পণ্য পাঠানো হবে ‘কনসাইনি’ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে, যারা মূলত গুদামজাতকরণ বা লজিস্টিক সেবা প্রদান করলেও চূড়ান্ত ক্রেতা নয়। তাই শিপিং ডকুমেন্ট সরাসরি এসব কনসাইনি বা তাদের অনুমোদিত এজেন্টের নামে তৈরি করা যাবে।

প্রচলিত বিক্রয়চুক্তি না থাকায় রপ্তানি কারকেরা প্রোফরমা ইনভয়েসের ভিত্তিতে রপ্তানি র মূল্য ঘোষণা করতে পারবেন। একই সঙ্গে কনসাইনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের গুদামজাত সেবা–সংক্রান্ত চুক্তির কপিও ব্যাংকে জমা দিতে হবে।

রপ্তানি আয় প্রচলিত ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে আনার সুযোগ বহাল থাকছে। অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিক্রির ক্ষেত্রে একাধিক চালানের বিপরীতে একত্রে রপ্তানি আয় আসতে পারে, তাই সার্কুলারে বলা হয়েছে— নিষ্পত্তির সময় এফআইএফও নীতি মানতে হবে; অর্থাৎ আগে পাঠানো চালান আগে নিষ্পত্তি হবে। যাচাই-বাছাই শেষে ঘোষিত মূল্যের চেয়ে বেশি রপ্তানি আয় এলে সেটিও গ্রহণ করা যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, রপ্তানি সংক্রান্ত অন্যান্য সব নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে। নতুন এই নীতিমালা কার্যকর হলে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি রপ্তানি কারকের জন্য বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশ আরও সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।