বাংলাদেশি উদ্যোক্তা বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখন থেকে অ্যামাজন, ইবে, আলিবাবা ও ফ্লিপকার্টের মতো বৈশ্বিক বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফরমগুলোর মাধ্যমে সরাসরি পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক অ্যামাজন-ইবে হয়ে রপ্তানিকারকদের সরাসরি বিদেশে পণ্য বিক্রির অনুমতি দিয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় অনলাইন প্ল্যাটফরম ও মার্কেটপ্লেসে পণ্য বিক্রির সুযোগ পাচ্ছেন দেশীয় রপ্তানিকারকরা।
অনলাইনভিত্তিক বৈশ্বিক বাজারে অংশগ্রহণ বাড়াতে নতুন নীতিগত উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আন্ত সীমান্ত ই-কমার্সকে সহজ ও কার্যকর করার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিজনেস-টু-বিজনেস-টু-কনজিউমার (বি২বি২সি) কাঠামোর অধীনে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
সার্কুলার অনুযায়ী, এখন থেকে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংকগুলো এমন রপ্তানি লেনদেন প্রক্রিয়াজাত করতে পারবে, যেখানে বিদেশি কনসাইনি (প্রেরক) চূড়ান্ত ক্রেতা না হয়ে মধ্যবর্তী প্ল্যাটফরম বা মার্কেটপ্লেস হিসেবে কাজ করবে। অর্থাৎ অ্যামাজন, ইবে, আলিবাবা, ইটসি কিংবা যেকোনো আন্তর্জাতিক সাবসিডিয়ারি বা তৃতীয় পক্ষের ওয়্যারহাউসের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানি করা যাবে।
এ ধরনের রপ্তানি কার্যক্রমে রপ্তানিকারকদের সংশ্লিষ্ট বৈশ্বিক প্ল্যাটফরম অথবা ওয়্যারহাউসে তাদের নিবন্ধনের প্রমাণ এডি ব্যাংকে জমা দিতে হবে। বি২বি২সি কাঠামোতে সাধারণত প্রচলিত বিক্রয় চুক্তি না থাকায় প্রফর্মা ইনভয়েসের ভিত্তিতেই রপ্তানি পণ্যের ন্যায্যমূল্য ঘোষণা করা যাবে।
পাশাপাশি, প্রেরক যদি শুধু সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান হয়, তবে তাদের নামে প্রস্তুতকৃত শিপিং ডকুমেন্টও ব্যাংক গ্রহণ করতে পারবে।