ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নাগরিকদের চীনে ভ্রমণ বা চীনের ট্রানজিট নেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। অরুণাচল প্রদেশের এক ভারতীয় নারীকে সাংহাই বিমানবন্দরে আটক করার দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পরে সোমবার নয়াদিল্লি এমন ঘোষণা দিয়েছে। ওই নারী জাপান যাওয়ার সময় সাংহাই বিমানবন্দরে ট্রানজিট নিতে গেলে তার ভারতীয় পাসপোর্টকে বৈধ বলে মানতে অস্বীকৃতি জানায় চীনা কর্তপক্ষ।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জওসয়াল বলেন, ‘আমরা আশা করি চীনা কর্তৃপক্ষ এই নিশ্চয়তা দেবে যে, চীনা বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াতকারী ভারতীয় নাগরিকদের বেছে বেছে লক্ষ্যবস্তু করা হবে না, নির্বিচারে আটক বা হয়রানি করা হবে না।
একইসঙ্গে চীনা পক্ষ আন্তর্জাতিক বিমান ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণকারী নিয়মগুলোকে সম্মান করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় নাগরিকদের চীনে ভ্রমণের সময় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিচ্ছে।’
নয়াদিল্লিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জসওয়াল আরও বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ আছে এবং থাকবে। আমরা এতে কোনও হস্তক্ষেপ চাই না।
চীন-ভারত সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, সম্পর্ক ধীরে ধীরে ইতিবাচক দিকে এগিয়ে চলেছে এবং আমরা এটিকে সেদিকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
অন্যদিকে সম্প্রতি খালিস্তানিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গুরপ্রীত সিং রেহল নামে এক ব্যক্তি ও ‘বব্বর অকালি লহর’ নামে এক সংগঠনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ব্রিটেন সরকার। বিতর্কিত এই সংগঠন ‘বব্বর খালসা ইন্টারন্যাশনাল’ নামে খালিস্তানি সংগঠনের অংশ বলে নিশ্চিত করে যুক্তরাজ্যে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা ভারত-বিরোধী চরমপন্থী সত্তাগুলিকে নিষিদ্ধ করার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানাই, যা সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইকে শক্তিশালী করবে। এটি অবৈধ আর্থিক প্রবাহ এবং আন্তঃজাতিক অপরাধ নেটওয়ার্ক বন্ধ করতে সাহায্য করবে।’