দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের পথে এমভি আব্দুল্লাহ

সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে দীর্ঘ ৩৩ দিন বন্দি থাকার পর মুক্ত হওয়া ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’ বিশেষ নিরাপত্তায় রওনা হয়েছে দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের পথে। জাহাজটিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নৌ-মিশনের ২টি যুদ্ধজাহাজ কঠোর নিরাপত্তা দিয়ে দুবাইয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে এমভি আব্দুল্লাহকে পাহারা দিয়ে নেওয়ার ছবি প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

ইউনাভফোর এর ‘এক্স’ হ্যান্ডলে প্রকাশ করা ছবিতে দেখা যায়, অপারেশন আটলান্টার দুটি যুদ্ধজাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে পাহারা দিয়ে যাচ্ছে।

চট্টগ্রামের কবির (কেএসআরএম) গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম গণমাধ্যমকে জানান, ভিডিওতে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটিকে দেখা যাচ্ছে। জাহাজের ক্যাপ্টেন একটি ভিডিও ধারণ করেছেন। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌ মিশনের দুটি যুদ্ধজাহাজকে এমভি আব্দুল্লাহর দিকে আসতে দেখা গেছে।

সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’ এ করা পোস্টে জানানো হয়, বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ এবং এর ২৩ নাবিকের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করছে অপারেশন আটলান্টা।

MV Abdullah 2

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এ সময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আব্দুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।