ইরানের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে দেশটিতে আক্রমণ শুরু করেছে ইসরায়েল। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের বেশ কয়েকটি শহরের আকাশে আজ শুক্রবার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে। ইরানের একটি লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলের একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তথ্য দিয়েছে মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি নিউজ।
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বলেছে, দেশটির ইসফাহান শহরের কাছে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এমন প্রেক্ষাপটে বেশ কয়েকটি শহরে ইরান তার আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সক্রিয় করল।
মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ জানিয়েছে, ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র ইরানে আঘাত হেনেছে। তবে কোথায় আঘাত হেনেছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি তারা কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়া অন্য কোনো যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে কি না তাও জানাননি তারা।
ইরনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের বিভিন্ন প্রদেশে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। তবে কী কারণে এসব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি ইরনা। তবে ইরানের বিভিন্ন প্রদেশেই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
এদিকে, সিরিয়া ও ইরাকের আকাশে বিস্ফোরণের কথা শোনা গেলেও ইসরায়েলি বাহিনী দেশ দুটিতে আঘাত হেনেছে কি না সে বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি। ইরাক ও সিরিয়ার তরফ থেকেও এ বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি।
১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর বিদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী কুদস ফোর্সের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদিসহ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন।
বদলা হিসেবে ইরান গত শনিবার রাতভর ইসরায়েলে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ইরানের বেশির ভাগ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি ভূখণ্ডে পৌঁছানোর আগেই ধ্বংস করা হয় বলে দাবি করে তেল আবিব।