এবার লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী এমভি ব্যাসিলিস্ক নামের একটি জাহাজ সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছে।
সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে প্রায় ৩৮০ নটিক্যাল মাইল পূর্ব দিকে সম্ভাব্য জলদস্যু আক্রমণের এই ঘটনাটি ঘটেছে। এমভি ব্যাসিলিস্ক তখন উত্তরমুখী হয়ে চলছিল।
ভারত মহাসাগর ও লোহিত সাগরে জলদস্যুতা নিয়ন্ত্রণে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সংস্থা ইইউএনএভিএফওআর- অপারেশন আটলান্টা এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) গভীর রাতে অপারেশন আটলান্টা তাদের এক্স হ্যান্ডেলে দেয়া এক বার্তায় জানায়, লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী এমভি ব্যাসিলিস্কে সম্ভাব্য জলদস্যু হামলার বিষয়ে জারি করা সতর্কতার বিষয়টি অপারেশন আটলান্টা নিশ্চিত করছে।
অপরাশেন আটলান্টার একটি যুদ্ধজাহাজ প্রথম এই ঘটনায় সাড়া দেয় বলে ওই টুইট বার্তায় জানানো হয়। এক্ষেত্রে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ইইউএনএভিএফওআর উদ্যোগ নিচ্ছে বলেও জানায় সংস্থাটি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন (ইউকেএমটিও) তাদের টুইটার হ্যান্ডেলে এক সতর্কবার্তায় জানায়, সোমালিয়ার মার্কা এলাকা থেকে ৪২০ নাটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পূর্ব অংশে দুটি ছোট জলযানে করে আসা বহিরাগত লোকজন একটি জাহাজে উঠে পড়েছে। তবে কত জন ওই জাহাজে উঠেছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি সংস্থাটি।
জাহাজের গতিবিধি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা মেরিন ট্রাফিকের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, এমভি ব্যাসিলিস্ক ৩ মে পশ্চিম আফ্রিকার মিন্ডেলো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জেবল আলী বন্দরের দিকে যাত্রা করে। ২৯ মে জাহাজটির সেখানে পৌঁছানোর কথা ছিল।
শিপিং বিষয়ক সংবাদ মাধ্যম ট্রেড উইন্ডস এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জাহাজটির পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মিনমেরিন এমপিপি শিপ ম্যানেজমেন্টের একজন মুখপাত্র এমভি ব্যাসিলিস্কের জলদস্যুদের কবলে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওই মুখপাত্র জানান, জাহাজের মাস্টারের সাথে তাদের কথা হয়েছে। এতে তাদের ধারণা হয়েছে জাহাজের নাবিকরা জলদস্যু আক্রমণের পর সিটাডলে আশ্রয় নিয়েছেন। জাহাজে মোট ১৭ জন নাবিক আছেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পথে কয়লা নিয়ে যাওয়ার সময় সোমালিয়া উপকূল থেকে প্রায় ৬০০ নাটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।
প্রায় ৩৩ দিন পর এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি এর ২৩ নাবিকসহ মুক্তি পায়।