ইন্ডিয়া টুডের খবর

ভারত সীমান্তে বাংলাদেশের ড্রোন মোতায়েন!

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কাছে তুরস্ক নির্মিত ড্রোন মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ। ভারতের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ ‘চিকেন নেক’ অঞ্চল ঘিরে এই ড্রোন মোতায়েন ভারতের উদ্বেগ আর বাড়িয়েছে। সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে অনলাইন ইন্ডিয়া টুডে।

ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এই ড্রোন মোতায়েন করেছে বাংলাদেশের সেনা। বায়রাক্তার টিবি২ নামের এই ড্রোন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে প্রতিবেশী দেশের সেনার গতিবিধি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করে। ভারত সীমান্তে এই ড্রোন মোতায়েন প্রসঙ্গে বাংলাদেশের তরফে জানানো হয়েছে দেশের নিরাপত্তার কারণেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ইন্ডিয়া টুডে বলছে, সীমান্তে মোতায়েন করা এসব ড্রোন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং নজরদারি মিশনের জন্য পরিচালনা করে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী।

যদিও ঢাকা জানিয়েছে, তারা প্রতিরক্ষার উদ্দেশ্যেই সীমান্তে এই ড্রোন মোতায়েন করেছে। তবে সীমান্তে এমন ড্রোন স্থাপনের কৌশলগত তাৎপর্য ভারত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

তারা দাবি করছে, হাসিনার পতনের পর থেকেই সীমান্ত এলাকায় পা রাখতে শুরু করেছে বাংলাদেশের কথিত চরমপন্থিরা। ভারতের গোয়েন্দাদের দাবি, উগ্রপন্থি ও চোরাকারবারিদের ভারতে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিতে চাচ্ছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহল।

ইন্ডিয়া টুডেকে ভারতের এক সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন, হাসিনার পতনে তারা বেশ উদ্বিগ্ন। কেননা, তার পতনের পর সীমান্ত এলাকায় ভারতবিরোধী উপাদানগুলো সক্রিয় হয়েছে। এমন রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সীমান্তে ড্রোন মোতায়নের বিষয়ে দিল্লিকে আরও সতর্ক অবস্থান নিতে হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

তুরস্ক নির্মিত বায়রাক্টার টিবি-২ নামের এই ড্রোন সীমান্তে নজরদারি এবং ছোটখাটো মিশন পরিচালনার জন্য এ বছরের শুরুতে হাতে পেয়েছে বাংলাদেশ। ডিফেন্স টেকনোলজি অব বাংলাদেশের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি দাবি করেছে, হাতে পাওয়া ১২টি ড্রোনের মধ্যে ৬টির ব্যবহার শুরু করেছে ঢাকা।

ভারতের প্রতিক্রিয়া: বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার মধ্যে ইতিমধ্যেই উচ্চ সতর্ক অবস্থান নিয়েছে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী। তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাল্টা ড্রোন মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে। সীমান্তে বাংলাদেশের কথিত ড্রোন মোতায়েনের বিরুদ্ধে দিল্লির বাহিনী হেরন টিপি’র মতো ড্রোন মোতায়েন করে তাদের অভিযান জোরদার করার বিকল্প পথ বেছে নিতে পারে।

এক উচ্চ পদস্থ ভারতীয় কর্মকর্তা ইন্ডিয়া টুডেকে বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতির ওপর নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ভারত। সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ভাবছে দেশটি। এ বিষয়ে নিজেদের অংশীদারদের সঙ্গে গোয়েন্দা যোগাযোগ করছে দিল্লি।