গাজায় প্রাণঘাতী ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের। ওই উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ মিসরের কৌশলগত বিশেষজ্ঞ মেজর জেনারেল ড. সামির ফারাগ এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন।
ড. সামির ফারাগ বলেন, ‘চলমান আঞ্চলিক উত্তেজনার কারণে মিশরে উদ্বেগ স্বাভাবিক। আগামীকাল যুদ্ধ শুরু হতে পারে এমন ধারণা নিয়ে মিশরের সশস্ত্র বাহিনী সর্বোচ্চ স্তরে প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
গত শনিবার সাদা এল-বালাদ টিভিতে প্রচারিত মিশরীয় টক শো ‘আলা মাসৌলিটি’-তে মিশরে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা এবং সামরিক বাহিনীর সতর্ক অবস্থার কথা বলেন ফারাগ।
সোমবার (৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানায় সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর।
ফারাগ মিশরীয়দের মধ্যে ‘নতুন করে দেশপ্রেমের চেতনা’র কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরের সময় নাগরিকদের কাছ থেকে সামরিক সেবায় স্বেচ্ছাসেবক হওয়ার আহ্বান ‘ত্যাগ এবং জাতীয় কর্তব্যের একটি স্বাভাবিক অনুভূতির’ দিকটিই প্রতিফলিত করে।
ফিলিস্তিনিদের পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে হামাসের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করে তিনি এর তুলনা করেন আলজেরিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রামের সাথে।
‘মিশরের প্রতি নমনীয়’ হিসেবে বর্ণনা করে হামাসের প্রশংসা করেন ফারাগ, বিশেষ করে গাজায় যুদ্ধ-পরবর্তী শাসনব্যবস্থার প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার জন্য। তিনি ভবিষ্যতের আলোচনায় আরও নমনীয় (হামাসকে) হওয়ারও আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের আর আগের মতো সামরিক শক্তি নেই, তবে সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও তারা সাহসিকতার সাথে লড়াই করেছে।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের ফলে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫০ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারানোর পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৩ জন।
অন্যদিকে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের দাবি, মৃতের সংখ্যা ৬২ হাজারের বেশি। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা হাজার হাজার নিখোঁজকে মৃত ধরে নেওয়া হচ্ছে।