দ্বিতীয়বারের মতো গ্রেপ্তার হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। গত ডিসেম্বরে সামরিক আইন জারির প্রচেষ্টার জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে একটি নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক এই নেতা প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করতে পারেন বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে, রাজধানী সিউলের একটি আদালত ইউন সুক-ইওলকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। এরপরই বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) তাকে আটক করা হয়।
বিদ্রোহের অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি ৬৪ বছর বয়সি এই রাজনীতিবিদকে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে, যেখানে তিনি বছরের শুরুতে ৫২ দিন কারাভোগ করেন এবং চার মাস আগে ‘কারিগরি কারণে’ মুক্তি পান।
এর আগে, ৩ ডিসেম্বর বেসামরিক সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করে দক্ষিণ কোরিয়াকে রাজনৈতিক সংকটে ফেলে দেন ইউন সুক-ইওল। সংসদে সশস্ত্র সৈন্য পাঠিয়ে আইনপ্রণেতাদের তার সামরিক আইনের ঘোষণার বিরুদ্ধে ভোট দেয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টাও করেন তিনি।
ইউন সুক-ইওল দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট যাকে জানুয়ারিতে এক অভিযানে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু মার্চ মাসে তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
এরপর দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত এপ্রিল মাসে ইউনকে পদ থেকে অপসারণ করে, যার ফলে জুন মাসে একটি আগাম নির্বাচনের পথ প্রশস্ত হয়।
ইউন সুক-ইওলকে সামরিক আইন জারির প্রচেষ্টা এবং তার প্রশাসন ও স্ত্রীর সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন ফৌজদারি অভিযোগের বিষয়ে বিশেষ তদন্ত শুরু করার আইন অনুমোদন করেছেন দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং।
সূত্র: আল জাজিরা