নেপালের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার দাবি জেন-জির

নেপালে দুর্নীতি ও শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে চলমান জেন-জি প্রজন্মের আন্দোলন নতুন মোড় নিয়েছে। আন্দোলনকারীরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, তারা প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাওডেলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করবেন না। তাদের দাবি, সরাসরি প্রেসিডেন্টের সঙ্গেই কথা বলতে হবে।

হামি নেপালি ফেসবুক পেজে আন্দোলনের প্রতিনিধি সুদান গুরুং লিখেছেন, তিনি নয় ঘণ্টা ধরে প্রেসিডেন্টের অপেক্ষায় আছেন। কিন্তু এখনও আলোচনায় আসেননি।

তিনি আরও বলেছেন, আমরা সরাসরি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলতে চাই। তার প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমি কোনও কথা বলবো না।

অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট পাওডেল জানিয়েছেন, তিনি আলোচনার দায়িত্ব তার উপদেষ্টা ও প্রতিনিধিদের দিয়েছেন। তবে জেন-জি আন্দোলনকারীদের দলের সঙ্গে আলোচনায় তিনি নিজেও যুক্ত হবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

রাজনৈতিক সংকট নিরসনে আলোচনার এ অচলাবস্থা নিয়ে নেপালে জনমনে অনিশ্চয়তা বাড়ছে।

এদিকে, নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে প্রেসিডেন্ট এবং সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির পূর্ব নির্ধারিত বৈঠক এখনও শুরু হয়নি। পার্লামেন্ট ভাঙার প্রশ্নে মতপার্থক্যের কারণেই আনুষ্ঠানিক আলোচনা এখনও শুরুই হয়নি বলে জানিয়েছে নেপালের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।

তরুণ বিক্ষোভকারী আশিক তামাং বলেছেন, আলোচনা এখনও শুরু হয়নি বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবে কার্কির সঙ্গে আমাদের কথাবার্তা অব্যাহত আছে।

প্রেসিডেন্টের বাসভবন শীতল নিবাসে শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে ওই বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী, অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান হিসেবে কার্কির নিয়োগের ক্ষেত্রে সাংবিধানিক ও আইনি জটিলতা মিটিয়ে একই দিনে শপথগ্রহণও সম্পন্ন করার কথা ছিল। তবে সংশ্লিষ্ট পক্ষদের মতপার্থক্যের কারণে আলোচনা কার্যত থমকে আছে।

তামাং জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। তবে এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।

অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কার্কির নিয়োগ প্রায় নিশ্চিত হলেও পার্লামেন্ট ভাঙার প্রশ্নেই একরকম স্থবির হয়ে পড়েছে আলোচনা। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে পরামর্শের পর পার্লামেন্ট ভাঙতে আপত্তি জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। অন্যদিকে, পার্লামেন্ট ভাঙা ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে আপত্তি জানিয়েছেন কার্কি এবং সেনাপ্রধান অশোক রাজ সিগদেল।

সূত্র: খবর হাব