ভারতের দুর্গাপুরে মেডিক্যাল ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৫

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপুরের এক বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার ঘটনায় কলেজের প্রাক্তন নিরাপত্তা কর্মীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সহপাঠীর সঙ্গে হোস্টেলের বাইরে যান ওই তরুণী। জলেশ্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গে ডাক্তারি পড়তে এসেছিলেন নির্যাতিতা। 

ঘটনাটি ২০২৪-এর আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার স্মৃতিকে উসকে দিয়েছে। এদিকে ঘটনার পরে, রোববার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। 

কলেজকে লেখা বয়ানে তিনি জানিয়েছেন, রাত আটটা থেকে আটটা ৪৫-এর মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। প্রথমে তিনজন মিলে তরুণীকে ঘিরে ধরে। পরে আরো দুইজন আসে। পাঁচজন ধর্ষণ করে ওই ডাক্তার ছাত্রীকে। তার ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে, ফোন ফেরত দেওয়ার জন্য পাঁচ হাজার টাকা দাবি করা হয়।

ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের পাশাপাশি তরুণীর ওই সহপাঠীকেও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে পুলিশ।

ঘটনার পরে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাজি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন। শনিবার তরুণীর বাবার সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। ওড়িশা সরকার নির্যাতিতার পরিবারের পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।

মমতার মন্তব্যে বিতর্ক অন্যদিকে, এই ঘটনার পরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় এক নতুন বিতর্ক। রোববার উত্তরবঙ্গে রওনা দেওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এটা শকিং ঘটনা। তবে এটা বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কীভাবে ওই মেয়েটি রাত সাড়ে ১২টায় বাইরে বেরলো? আমি যতদূর জানি ওটা জঙ্গল এলাকা। আমি জানি না রাত সাড়ে ১২টায় কী ঘটেছিলো। তদন্ত চলছে। যদিও আমি ঘটনাটিতে স্তম্ভিত হয়েছি, তাও বলবো, বেসরকারি কলেজকে তাদের ছাত্র ছাত্রীদের দায়িত্ব নিতে হবে, বিশেষ করে মেয়েদেরকে রাত্রে বেরোনোর অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। তাদেরকেও তো নিজেদের রক্ষা করতে হবে।

তরুণীর বয়ান অনুযায়ী, সাড়ে ১২টা নয়, ঘটনাটি হটেছে আটটার কিছু পরে। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক। একাধিক সমাজকর্মীর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য অসংবেদনশীল।

পরে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য বলেন, তার মন্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছে। তিনি বলেন, যে কেউ যেখানে খুশি যেতে পারে, সেটা তার অধিকার। তবে হোস্টেলের একটা পদ্ধতি আছে বলে মনে করিয়ে দেন তিনি।