পুরো ভারত জুড়েই প্রতি বছর মহাসমারোহে উদযাপন করা হয় দীপাবলি উৎসব। স্বাভাবিক কারণেই পটকা ফাটানোর ব্যাপারটি শিশু-কিশোরদের কাছে খুব জনপ্রিয়। কিন্তু বন্দুক দিয়ে পটকা ফাটাতে গিয়ে ভারতের মধ্যপ্রদেশ ও বিহারে চিরতরে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে কমপক্ষে ৬৪ জন শিশু-কিশোর-কিশোরী। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এবারের দীপাবলিতে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের শিশু-কিশোরদের কাছে আনন্দের অন্যতম অনুষঙ্গ হয়ে উঠেছিল স্থানীয়ভাবে নির্মিত একপ্রকার কার্বাইড বন্দুক। বন্দুকটি চালাতে প্রয়োজন হয় কেবল সামান্য ক্যালসিয়াম কার্বাইড আর পানি। অল্প খরচ আর আসল বিস্ফোরণের আওয়াজ; দুইয়ে মিলে শিশুদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়ে যায় বন্দুকটি।
তবে এটি যে বেশ বিপজ্জনক একটি বস্তু, তার প্রমাণ হাতেনাতে পাওয়া গেলো দীপাবলির উৎসবে। গত ২০ অক্টোবর দীপাবলি উৎসব উদাপিত হয়েছে ভারতে। তারপর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিনে ভারতের মধ্যপ্রদেশে চোখে গুরুতর আঘাত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে শতাধিক শিশু-কিশোর-কিশোরী। তাদের মধ্যে কমপক্ষে ১৪ জন আর কখনও তাদের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবে না। বিহারে এই সংখ্যা আরও বেশি।
দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের তথ্য অনুসারে, শুধু রাজধানী পাটনাতেই স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে কমপক্ষে ৫০ জন শিশু-কিশোর-কিশোরী।
বিহার ও মধ্যপ্রদেশের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সামনের দিনগুলোতে স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি হারানো শিশু-কিশোরদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ভোপাল মেমোরিয়াল হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের (বিএসএইচআরসি) চক্ষুবিদ্যা বিভাগের প্রধান ডা. হেমলতা যাদব বলেন, এই কার্বাইড বন্দুক কোনও সাধারণ খেলনা নয়। এটা আসলে একপ্রকার রাসায়নিক বোমা।