ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার প্রধান শহর গাজা সিটির ধ্বংস্তূপ থেকে একই পরিবারের ৩০ সদস্যের দেহাবশেষ উদ্ধার করেছেন উপত্যকার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় নিহত হয়েছিলেন তারা।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গাজা সিটির আল রিমাল এলাকায় বসবাস করতেন ওই পরিবারের সদস্যরা।
কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, তাদের কাছে থাকা তথ্য অনুসারে- ওই পরিবারের ৬০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের সময়। বাকি ৩০ জনের মরদেহ কিংবা দেহাবশেষের সন্ধান এখনও মেলেনি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালিয়ে এক হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫০ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পরদিন ৮ অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
সেই অভিযানে গাজার বিভিন্ন আবাসিক এলাকার শত শত বাড়িঘর, হাসপাতাল, স্কুল, দোকান-পাট, আশ্রয় ও পরিষেবাকেন্দ্রগুলোতে বোমাবর্ষণ করা হয়। বোমার আঘাতে ধ্বংসস্তূপের তলায় অনেকের মরদেহ চাপা পড়েছিল, যাদের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
২০২৫ সালে ১০ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধবিরতির দু’মাস পর ডিসেম্বর থেকে ধ্বংসস্তূপগুলোতে উদ্ধারকাজ শুরু করে গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনী। উদ্ধারকাজ শুরু করার পর এই প্রথম কোনো ধ্বংস্তূপ থেকে এক পরিবারের এতজন সদস্যের দেহাবশেষ মিলল।
হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের গত ২ বছরে গাজায় নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭০ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ। নিহত এবং আহতদের বড় অংশই নারী ও শিশু। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় ভবন ধ্বংসের জেরে গাজায় জমা হয়েছে শত শত টন আবর্জনা ও ধ্বংসাবশেষ। এই আবর্জনা সরানোও এখন একটি বিশাল চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি