অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় টানা আট মাস ধরে অবিরাম বোমা বর্ষণ করে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল বাহিনী। এতে গাজা ভূখণ্ড ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। বহুদেশ ইসরায়েলের এই নেক্কারজনক হামলার নিন্দা জানালেও কোনো কথাই কর্ণপাত করছে না নেতানিয়াহু সরকার।
ইসরায়েল বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জা বাদ যাচ্ছেনা হাসপাতালও। গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও ইতোমধ্যে ভেঙে পড়েছে।
এরসঙ্গে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র মানবিক সংকট। পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ যে, গাজাকে বসবাসেরই অযোগ্য করে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনে নিযুক্ত জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ।
উপকূলীয় এই ভূখণ্ডটি একসময় ‘প্রাণবন্ত শহর’ ছিল বলেও মন্তব্য করেছে সংস্থাটি। শুক্রবার (১৪ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উপকূলীয় গাজা উপত্যকা একসময় ‘প্রাণবন্ত শহর’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন ইউএনআরডব্লিউএ-র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে এই বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি গাজার উত্তরাঞ্চলে ধ্বংসযজ্ঞের ভিডিও ফুটেজও পোস্ট করেছেন তিনি।
ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, সীমাহীন ধ্বংসযজ্ঞ এবং জনশূন্যতার মাধ্যমে গাজাকে বসবাসের অযোগ্য করে ফেলা হয়েছে।
এদিকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ভূখণ্ডটিতে মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৭ হাজার ২৩২ জনে। বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এই তথ্য জানিয়েছে।