ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় আরও ৩৪ ও লেবাননে ৭জন নিহত হয়েছেন। গাজায় একের পর এক হামলায় সেখানকার হাসপাতালগুলোতে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। অন্যদিকে লেবাননের ছোড়া রকেট হামলার জবাবে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি বাহিনীর ব্যাপক বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ৭জন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২২ মার্চ) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।
শনিবার গাজার বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলার পাশাপাশি স্থল অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা সিটির তুফাহ এলাকায় ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলায় একই পরিবারের মোট পাঁচজন নিহত হন। একই দিন দখলকৃত পশ্চিম তীরের জেরিকো শহরের কাছে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা।
ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার জেরে তীব্র সংকটে ভুগছে গাজার হাসপাতালগুলো। পর্যাপ্ত চিকিৎসা সামগ্রী ও শয্যার অভাবে প্রায় অকেজো সেখানকার চিকিৎসাব্যবস্থা। মেমাদানি হাসপাতাল, যা গাজার অন্যতম প্রধান চিকিৎসাকেন্দ্র, বর্তমানে আহতদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
এদিকে, রকেট হামলার জবাবে লেবাননে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। লেবাননের সরকারি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, এই হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
তেল আবিবের বিমানবাহিনীর দাবি, তারা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ও অস্ত্রাগারে আক্রমণ করেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, লেবানন সরকারকে প্রতিটি রকেট হামলার জবাব দেয়া হবে। এছাড়া ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, হামাসের ওপর বাড়তি চাপ প্রয়োগ করতেই গাজাজুড়ে নতুন সামরিক হামলা শুরু হয়েছে।
এদিকে হিজবুল্লাহ দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলে কোনো হামলা চালায়নি। এসব হামলার সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। যুদ্ধবিরতিও মেনে চলছে তারা। যদিও শনিবার ইসরায়েলের রকেট হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো সশস্ত্রগোষ্ঠী বা সংগঠন।