যুক্তরাষ্ট্র একটি বানোয়াট ও অযৌক্তিক অজুহাতে ইরানের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ চাপিয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে ইরানের প্রতিনিধি আমির সাঈদ ইরাভানি।
রোববার (২২ জুন) জাতিসংঘ সদর দফতরে নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের ডাকা জরুরি বৈঠকে তিনি বলেন, ইরান যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্পষ্ট আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার অধিকার রাখে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর চাপেই যুক্তরাষ্ট্র ‘অযথা ও ব্যয়বহুল’ যুদ্ধে জড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ইরানি প্রতিনিধি।
তিনি জানান, ইরানের পক্ষ থেকে ‘যথাযথ জবাব কখন, কীভাবে এবং কতটা দেওয়া হবে’ তা দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ঠিক করবে।
ইরাভানি ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে দোষারোপ করে বলেন, নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রকে ‘আরেকটি ব্যয়বহুল ও ভিত্তিহীন যুদ্ধে’ টেনে এনেছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক আইনের ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’।
ইরাভানি আরও বলেন, ইসরাইল এক ‘মিথ্যা ও প্রতারণামূলক গল্প’ ছড়িয়েছে যে, ইরান ‘পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের দ্বারপ্রান্তে’।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও কিছু পশ্চিমা দেশ যেমন ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের নীরবতা, দ্বিচারিতা ও সহযোগিতা সমানভাবে নিন্দনীয়।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ যেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলকে সম্পূর্ণভাবে জবাবদিহির আওতায় আনে এই আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে, নিরাপত্তা পরিষদের এই বেঠকে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে চীন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা। রাশিয়ার প্রতিনিধি আমেরিকার হামলাকে দায়িত্ব জ্ঞানহীন বলে সমালোচনা করেছেন। চীনের প্রতিনিধি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের সস্পষ্ট লঙ্ঘন।