যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোকে সমর্থন করবেন না। এর বদলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য একটি বিস্তৃত আন্তর্জাতিক ঐকমত্য গড়ে তোলার পক্ষে তিনি। বুধবার (২ অক্টোবর) সাংবাদিকরা বাইডেনের কাছে জানতে চান, ইসরায়েল যদি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করতে চায়, তাতে আপনি সমর্থন দেবেন কি না? এতে বাইডেন সোজাসাপটা জবাব দেন, ‘না’।
বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েলিরা কী করতে যাচ্ছে তা নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করবো, তবে আমাদের সাত জনের (জি-৭ দেশগুলোর প্র্ধানরা) সবাই একমত যে তাদের প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার আছে, কিন্তু তাদের সমানুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত।
তিনি জানান, তিনি শিগগিরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলবেন। কিন্তু কবে কথা বলবেন, সে বিষয়ে তিনি কোনো কিছু বলেননি বলে জানিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট।
অন্যদিকে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরাইলকে প্রথমেই দেশটির পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) নর্থ ক্যারোলিনায় একটি নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী এ কথা বলেন।
বাইডেনের এই বক্তব্য নিয়ে শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প বলেছেন, ‘যখন তাকে ( বাইডেন) এই প্রশ্ন করা হলো, তার উত্তর হওয়া উচিত ছিল প্রথমে পারমাণবিক কর্মসূচিতে হামলা করুন। বাকিটা পরে দেখা যাবে।’
ট্রাম্প আরও বলেছেন, ‘আমি মনে করি তিনি (বাইডেন) এটি ভুল করেছেন। তার মানে আপনি এটাতে হামলা করতে চান না? ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র আমাদের সবচেয়ে বড় ঝুঁকি।
প্রায় এক বছর ধরে গাজা, লেবানন, সিরিয়া ও ইরাকে হাজার হাজার মানুষ হত্যা এবং হামাস, হিজবুল্লাহ ও আইআরিজিসির কমান্ডারদের হত্যার জবাবে গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ইসরাইলে বড় আকারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ইরানের এ হামলার জবাব দেয়ার অঙ্গীকার দিয়েছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, ‘তেহরান তেল আবিবে হামলা চালিয়ে বড় ভুল করেছে। তাদেরকে এর মূল্য দিতে হবে।’