যুক্তরাষ্ট্রে রক্ষণশীল রাজনৈতিক কর্মী ও টার্নিং পয়েন্ট ইউএসএ-এর সিইও চার্লি কার্ককে হত্যার ঘটনায় সম্ভাব্য উদ্দেশ্যের আভাস দিয়েছে এফবিআই। সংস্থাটি জানায়, অভিযুক্ত ২২ বছর বয়সী টেইলর রবিনসন হামলার একদিন আগে তার পরিবারকে বলেছিলেন, তিনি কার্ককে অপছন্দ করেন কারণ কার্ক ‘ঘৃণা ছড়াতেন’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চাই না আমার সন্তানরা যুক্তরাষ্ট্রে বসে কখনো আযানের ধ্বনি শুনুক।’
যদিও তদন্তকারীরা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে হত্যার সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিশ্চিত করেননি, তবে এ মন্তব্যকে আক্রমণের আগে রবিনসনের চিন্তাভাবনার ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ইউটাহ ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতাকালে চার্লি কার্ক গুলিবিদ্ধ হন। কর্তৃপক্ষ জানায়, রবিনসন দূরের একটি ছাদ থেকে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যান। পরে ব্যাপক অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে তাকে ইউটা অঙ্গরাজ্য থেকে আটক করা হয়।
এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল জানান, ৩৬ ঘণ্টারও কম সময়ে, সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে ৩৩ ঘণ্টার মধ্যে ফেডারেল সরকারের পূর্ণ তৎপরতা এবং ইউটাই রাজ্যের অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ হাজারেরও বেশি তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।
কার্কের এই হত্যাকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতার এক উদ্বেগজনক প্রবণতাকে আরও উস্কে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একটি তাঁবুর নিচে বক্তৃতাকালে গুলি তার ঘাড়ে বিদ্ধ হয়। সেই মুহূর্তটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
২০১২ সালে টার্নিং পয়েন্ট সহ-প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে চার্লি কার্ক কিশোর বয়সেই খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তার নেতৃত্বে সংগঠনটি ৭৯ মিলিয়ন ডলারের রক্ষণশীল শক্তিতে পরিণত হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের হাজারো ক্যাম্পাসে সক্রিয় হয়। জাতি ও সংস্কৃতি নিয়ে তার উসকানিমূলক মন্তব্যের কারণে তিনি জেনারেশন জি ভোটারদের মধ্যে প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিতি পান। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস ও সিএনএন