ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর শরীরে ত্বকের ক্যানসার শনাক্ত হয়েছে। বমি ও নিম্ন রক্তচাপে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষায় তার শরীরে ‘স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা’ ধরা পড়ে। বর্তমানে তিনি গৃহবন্দি অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭০ বছর বয়সী বলসোনারোর শরীরে ত্বকের ক্যানসারের প্রাথমিক ধাপ শনাক্ত হয়েছে। ক্যানসার শনাক্ত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়বার হাসপাতালে ভর্তি হন। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) তার বুক ও হাতে থাকা ক্ষতস্থানের টিস্যু অপসারণ করা হয়।
অনকোলজিস্ট ক্লাউদিও বিয়ারোলিনি জানিয়েছেন, এটি ত্বকের মাঝারি ধরনের ক্যানসার, যা সবচেয়ে হালকা ও সবচেয়ে আক্রমণাত্মক ধাপের মধ্যবর্তী পর্যায়ে পড়ে। তিনি উল্লেখ করেছেন, ক্যানসার ‘ইন সিটু’ পর্যায়ে রয়েছে, অর্থাৎ অস্বাভাবিক কোষ শরীরের অন্য অংশে ছড়িয়ে পড়েনি। বিয়ারোলিনি আরও জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারই যথেষ্ট চিকিৎসা এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে সেলাই ও ব্যান্ডেজ খুলে দেওয়া হবে।
বলসোনারো বমি ও নিম্ন রক্তচাপের কারণে মঙ্গলবার ব্রাসিলিয়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে তিনি বাসায় ফিরে গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
উল্লেখ্য, বলসোনারো ২০২২ থেকে ২০২৩ সালে ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্রে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগে থেকেই গৃহবন্দি ছিলেন। সম্প্রতি তাকে ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরেসের নির্দেশে গৃহবন্দিত অবস্থাতেও চিকিৎসার জন্য তিনি বাসার বাইরে যেতে পারবেন। তবে এর জন্য প্রতিবারই তার আইনজীবীদের আদালতে চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হয়।
বলসোনারোর সমর্থকরা তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতিকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন, যাতে তিনি কারাগারে না গিয়ে বাড়িতেই সাজা ভোগ করতে পারেন। তার জ্যেষ্ঠ পুত্র, সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম লিখেছেন, আমার বাবা আগেও কঠিন লড়াই লড়ে জয়ী হয়েছেন। এবারও ভিন্ন কিছু হবে না।