ওষুধ আমদানিতে ১০০ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, ২০২৫ সালের ১ অক্টোবর থেকে ব্র্যান্ডেড ও পেটেন্টযুক্ত ওষুধ আমদানিতে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। তার এই নতুন সিদ্ধান্তে ভারতের ওষুধ শিল্প গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

শুল্ক আরোপের এই ঘোষণা এশিয়ার বাজারে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিএসএলের শেয়ার ছয় বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে এসেছে, জাপানের সুমিতোমো ফার্মার শেয়ার কমেছে ৫ শতাংশের বেশি এবং হংকংয়ের হ্যাংসেং বায়োটেক ইনডেক্স প্রায় ২.৫ শতাংশ কমে গেছে।

ওষুধ (ব্র্যান্ডেড ও পেটেন্টযুক্ত) ১০০%, ভারী ট্রাক ২৫%, রান্নাঘরের ক্যাবিনেট ও বাথরুম ভ্যানিটি ৫০%, সোফা, চেয়ারসহ আসবাবপত্র ৩০% শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

ট্রাম্প জানান, এই পণ্যগুলো বিপুল পরিমাণে বাইরের দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে। তাই আমাদের নিজেদের বাজার ও শিল্পকে সুরক্ষা দিতে শুল্ক আরোপ প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা স্থাপন করলে এসব শুল্ক থেকে ছাড় পাওয়া যেতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের অর্থনৈতিক কৌশলে শুল্ক বড় হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। তবে এই নীতি বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা বাড়াচ্ছে এবং অনেক দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক জটিল করে তুলছে।

মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাগুলো সতর্ক করে বলেছে, এই শুল্কের কারণে শত শত বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ঝুঁকির মুখে পড়বে এবং ওষুধের মূল্য আরও বেড়ে যেতে পারে।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট জানান, শুধুমাত্র চলতি বছরেই শুল্ক থেকে ৩০০ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব আয় হওয়ার আশা করছে ট্রাম্প প্রশাসন।

এদিকে জাপান বলছে, তারা এখনো এই নতুন শুল্ক নীতির সম্ভাব্য প্রভাব বিশ্লেষণ করছে। ট্রাম্পের ঘোষণায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা অন্য বাণিজ্য অংশীদারদের জন্য ছাড়ের বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়নি।