যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার শিগগিরই বড় ধরনের শাটডাউনের মুখোমুখি হতে পারে, যার প্রভাব পড়বে লাখো সরকারি কর্মীর ওপর। বাজেট নিয়ে কংগ্রেসে সমঝোতা না হওয়ায় ৭ লাখেরও বেশি অ-অত্যাবশ্যকীয় সরকারি কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
প্রতি অর্থবছরের শুরুতে (১ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রে কেন্দ্রীয় সরকারকে চলতি বছরের ব্যয়ের জন্য বাজেট অনুমোদন করতে হয়। কিন্তু কংগ্রেসে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে চলমান মতবিরোধের কারণে এই বাজেট এখনো পাস হয়নি। ফলে সরকারের 'অ-অত্যাবশ্যকীয়' কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে, যা অর্থনৈতিকভাবে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা।
শাটডাউন শুরু হলে প্রায় ৪০% ফেডারেল কর্মচারী (প্রায় সাড়ে সাত লাখ মানুষ) ছুটিতে যাবেন। তারা এই সময় কোনো বেতন পাবেন না (পরবর্তীতে আইন পাস হলে বকেয়া বেতন পেতে পারেন)। অপরিহার্য পরিষেবার (যেমন: সেনাবাহিনী, সীমান্ত নিরাপত্তা) কর্মীরা বিনা বেতনে কাজ করতে বাধ্য হবেন।
কংগ্রেসে শাটডাউন ইস্যুতে একে অপরকে দায় দিচ্ছেন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান নেতারা। রিপাবলিকানদের দাবি সরকার চালু রাখতে স্বল্পমেয়াদী তহবিল (স্টপগ্যাপ ফান্ডিং) দরকার, যা নভেম্বর পর্যন্ত চলতে পারে। ডেমোক্র্যাটদের অভিযোগ রিপাবলিকানরা স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে কাটছাঁটের সুযোগ নিতে শাটডাউনকে ব্যবহার করছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের শাটডাউন ফেডারেল কর্মীদের ক্রয়ক্ষমতা হ্রাস করবে। সরকারি সেবা বন্ধ হওয়ায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়াবে। অর্থনীতিতে তাৎক্ষণিক মন্দা সৃষ্টি করতে পারে।
২০১৮ সালের শাটডাউনের তুলনায় এবারেরটি আরও বড় হতে পারে, কারণ এবার আরও বেশি সংখ্যক কর্মী ও সংস্থা এতে প্রভাবিত হবে। এমনকি স্থায়ী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কাও করা হচ্ছে, বিশেষ করে ট্রাম্পপন্থী রিপাবলিকানদের কড়া অবস্থানের কারণে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রিপাবলিকানদের প্রস্তাবিত একটি স্বল্পমেয়াদী অর্থায়ন বিল কংগ্রেসে আবারও ভোটে ওঠার কথা রয়েছে। সেটি পাস না হলে, শাটডাউন দুই দিনের মধ্যেই কার্যকর হয়ে যেতে পারে।