ন্যাটোতে যোগ দিতে আর বাধা নেই সুইডেনের

ন্যাটো জোটে সুইডেনের সদস্য হওয়ায় শেষ বাধা ছিল হাঙ্গেরি। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) হাঙ্গেরির পার্লামেন্টে সুইডেনের পক্ষে সায় দিয়েছে হাঙ্গেরির ক্ষমতাসীন দল।

হাঙ্গেরির ভোট সুইডেনের নিরাপত্তা নীতির পরিবর্তন ঘটাতে কয়েক মাস বিলম্বের অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসনের সফরের পর দুই দেশ একটি অস্ত্র চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। 

সুইডেনের ন্যাটোতে সদস্যপদের জন্য হাঙ্গেরির পার্লামেন্টে ৬ জন বিরোধিতা করলেও এতে ১৮৮ জন আইনপ্রণেতা সমর্থন দেয় এবং সব আইনপ্রণেতাই ভোট দেন। এতে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সরকার ন্যাটো মিত্রদের চাপের মুখে পড়ে এবং ন্যাটো জোটে সুইডেনের পক্ষে সায় দেয়।   

নানামুখী আলোচনা-সমালোচনার পর ন্যাটো জোটের সদস্য হতে গত বছর আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছিল সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। এর মধ্য দিয়ে দেশ দুটি কয়েক দশকের নিরপেক্ষতার নীতি ত্যাগ করে। 

মূলত রাশিয়ার আগ্রাসনের ভয়ে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সদস্য হতে চায়। নীতিগতভাবে স্টকহোমকে সমর্থন করলেও হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানকে নিয়ে সমালোচনার কারণে সুইডেনকে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে নিতে রাজি ছিল না হাঙ্গেরি। অবশেষে ন্যাটোতে যোগদানের জন্য শেষ ধাপ পাড়ি দিল সুইডেন। 

হাঙ্গেরির পার্লামেন্টে সুইডেনের ন্যাটো সদস্যপদ অনুমোদন পেলেও এখন তাতে প্রেসিডেন্টের সাক্ষর দরকার হবে। এরপরই ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার সরকারি আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হবে সুইডেনে। এ প্রক্রিয়ায় সাধারণত কয়েক দিন লাগে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আজ ঐতিহাসিক দিন। সুইডেন ইউরো-আটলান্টিক নিরাপত্তার দায়িত্ব কাঁধে নিতে প্রস্তুত।’

ওদিকে, ন্যাটো মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ‘হাঙ্গেরির পার্লামেন্ট আজ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে এই জোট আরও শক্তিশালী ও নিরাপদ হয়েছে।’  সূত্র: রয়টার্স