বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর ‘হিন্দু’ মন্তব্যের জেরে উত্তাল হলো লোকসভা। সোমবার (১ জুলাই) রাষ্ট্রপতির প্রারম্ভিক ভাষণ নিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে প্রথমবার বক্তব্য রাখতে ওঠেন রাহুল। ক্ষমতাসীনদের লক্ষ্য করে তিনি বলেন, যারা নিজেদের হিন্দু বলেন, তারা শুধু হিংসার কথা বলেন, ঘৃণার কথা এবং অসত্য কথা বলেন। তার পরই ট্রেজারি বেঞ্চ থেকে হইচই শুরু হয়ে যায়।
সোমবার লোকসভায় বক্তব্যের শুরুতেই রাহুল দাবি করেন, ভারত নামক ধারণার উপরে আঘাত নেমে আসছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই ইডি তাকে হেনস্থা করেছে। রাহুল বলেন, আমি ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আক্রমণের শিকার হয়েছি। আমার সবচেয়ে উপভোগযোগ্য মুহূর্ত হলো ৫৫ ঘণ্টা ধরে ইডির জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হওয়া।
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে কংগ্রেসের এই নেতা আরও বলেন, দেবতা শিব বলেছেন ভয় করো না, ভয় পেয়েও না। তিনি অহিংসার কথা বলেছেন। আর যারা নিজেদের হিন্দু বলে, তারা ২৪ ঘণ্টা হিংসা, ঘৃণা অসত্যের কথা বলে। আপনারা হিন্দু হতেই পারেন না। হিন্দু ধর্মে সাফ লেখা আছে। সত্যের পক্ষে থাকতে হবে। সত্য থেকে পিছু হটা যাবে না।
রাহুলের এই বক্তব্যের মাঝেই লোকসভায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরো হিন্দু সম্প্রদায়কে নিয়ে এ ধরনেরর মন্তব্য বিপজ্জনক।
বিজেপি সাংসদরা রাহুলকে এ নিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তোলেন। ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে দাবি করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
রাহুলকে ক্ষমা চাইতে বলে অমিত শাহ বলেন, উনি (রাহুল) জানেন না, কোটি কোটি মানুষ নিজেকে গর্বভরে হিন্দু বলে থাকেন। কোনো ধর্মের সঙ্গে হিংসাকে জড়িয়ে দেওয়া ভুল। তার ক্ষমা চাওয়া উচিত। রাহুলকে আক্রমণ করতে গিয়ে কংগ্রেস আমলের জরুরি অবস্থা এবং শিখবিরোধী হিংসার প্রসঙ্গ তোলেন শাহ।
তবে ক্ষমার প্রশ্নে রাহুল গান্ধী ঘোষণা দেন, লোকসভায় স্পিকার ছাড়া কারও কাছে মাথা নত করবেন না তিনি।