ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২৪২ যাত্রী ছিলেন। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ২টা ২৫ মিনিটে আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছাকাছি মেঘানিনগর আবাসিক এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। খবর এএনআইয়ের।
ভারতীয় সংবাদসংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ ফ্লাইটটি আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। কিন্তু, উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়ে যায় বোয়িং ৭৮৭-৮ কুইকজেট সিরিজের ফ্লাইটটি।
এয়ার ইন্ডিয়ার বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, বিধ্বস্ত বিমানটিতে ১৬৯ ভারতীয়, ৫৩ জন যুক্তরাজ্যের, সাতজন পর্তুগালের ও একজন কানাডিয়ান নাগরিক ছিলেন। ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় শতাধিক মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে, বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলট এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলকে (এটিসি) ‘মে ডে কল’ দিয়েছিল। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই ‘মে ডে কল’ কী ?
বিমান পরিষেবার পরিভাষায় এটিকে ‘বিপদসঙ্কেত’ বলা হয়। আপদকালীন পরিস্থিতিতে পাইলট যখন কোনো বিপদের আঁচ পান, তখন এটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফরাসি শব্দ ‘মেইডার’ থেকে ‘মে ডে’ শব্দটি এসেছে। যার অর্থ ‘আমাকে সাহায্য করুন’।
সাধারণত এটিসি এবং ওই এটিসির আওতায় থাকা আকাশপথে কোনো বিমানের মধ্যে রেডিও যোগাযোগকে ‘মে ডে কল’ বলে। এর মাধ্যমে দ্রুত সাহায্যের বার্তা পাঠানো হয়।
কারও কারও মনে আবার প্রশ্ন জাগতে পারে, কোন কোন ক্ষেত্রে ‘মে ডে কল’ পাঠানো হয়? সাধারণত বিমানের ইঞ্জিনে গোলযোগ দেখা দিলে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে বিমান পড়লে, বিমানের যান্ত্রিক গোলযোগ হলে এবং উড়োপথে বিমানের মধ্যে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়ে মেডিকেল ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি তৈরি হলে এই ‘মে ডে কল’ করা হয়ে থাকে।