শ্রীলঙ্কায় ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে চলতি সপ্তাহে কমপক্ষে ৪৪ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ে নিখোঁজ রয়েছেন আরও ২১ জন। এতে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে এবং দেশের কিছু অংশে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) শ্রীলঙ্কার দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রের (ডিএমসি) বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বন্যা-ভূমিধসে নিহতদের বেশিরভাগই দেশটির মধ্যাঞ্চলের চা-বাগান এলাকা বদুল্লার বাসিন্দা। ওই এলাকায় রাতে পাহাড়ি ঢাল ভেঙে ঘরবাড়ির ওপর ধসে পড়ে। এতে ২১ জন চাপা পড়ে মারা যান বলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (ডিএমসি) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
এছাড়া দেশটির নুয়ারা এলিয়া জেলাতেও একইভাবে মাটি চাপা পড়ে আরও চারজন নিহত হয়েছেন। বাকিরা অন্যান্য এলাকায় মারা গেছেন।
ডিএমসি বলছে, কাদাধসে ৪২৫টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ১ হাজার ৮০০ পরিবারকে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কাজুড়ে নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের উঁচু স্থানে সরে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় বর্তমানে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর সময় চলছে। কিন্তু দেশটির পূর্ব দিকে অবস্থানরত একটি নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টিপাত আরও তীব্র হয়েছে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
বৈরী আবহাওয়ার কারণে মালয়েশিয়ার সরকার দেশের শেষ বর্ষের স্কুল পরীক্ষা দু’দিনের জন্য স্থগিত করেছে। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় আইনপ্রণেতারা নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ কারণে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের বাজেট বিতর্ক স্থগিত করা হয়েছে।
শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন এলাকায় ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকায় বৃহস্পতিবার ২৫০ মিলিমিটার পর্যন্ত প্রবল বর্ষণ হতে পারে। সূত্র: এএফপি।