হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য শেষে যা জানালেন নাহিদ

আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:১৮ পিএম

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে চলমান মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এ দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দেন তিনি। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত দুই সদস্যের বিচারিক বেঞ্চে এই সাক্ষ্য গ্রহণ হয়।

সাক্ষ্যে নাহিদ ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন দমন করতে সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থা পরিকল্পিতভাবে ছাত্রনেতাদের তুলে নিয়ে যায়, নির্যাতন করে এবং বিভিন্ন মিথ্যা অভিযোগে হয়রানি করে।

তিনি জানান, ২০ জুলাই রাতে তাকে চোখ বেঁধে, হাতকড়া পরিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। ডিবি কার্যালয়ে তাকে বলা হয়, তোমাকে গুম করা হয়েছে। আন্দোলন প্রত্যাহার না করলে ছাড়া হবে না। ২৪ ঘণ্টা পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে ২৬ জুলাই তাকে দিয়ে জোরপূর্বক আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণাপত্র মোবাইলে ধারণ করে প্রচার করে তৎকালীন ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশীদ।

নাহিদের দাবি, ওই সময় গণমাধ্যমগুলো সরকারের চাপে আন্দোলনের প্রকৃত চিত্র প্রকাশ থেকে বিরত থাকে। তিনি বলেন, গণমাধ্যম স্বাধীন থাকলে হয়তো এত প্রাণহানি, নিপীড়নের ঘটনা ঘটত না।

তিনি আরও জানান, ১ আগস্ট সরকার পতনের একদফা দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়, এবং ৪ আগস্ট রাতে বিকল্প সরকার গঠনের বিষয়ে আলোচনা করেন আন্দোলনের নেতারা। ড. ইউনূসকে উপদেষ্টা হিসেবে বিবেচনার কথাও বলেন তিনি।

এই মামলায় নাহিদ ইসলাম প্রসিকিউশনের শেষ সাক্ষী। পরবর্তী পর্যায়ে তদন্ত কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেবেন এবং পরে শুরু হবে যুক্তি-তর্কের পর্ব। এ পর্যন্ত মামলায় ৪৭ জনের জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।

গত ১০ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এই মামলার অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়। মোট পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে রয়েছে ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠা, যার মধ্যে শহীদদের তালিকার বিবরণই ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা।

DR/SN