কুমিল্লায় দুই কিশোর গ্যাং সদস্যের ছুরিকাঘাতে আহত প্রবাসী আবু বকর প্রায় এক সপ্তাহ পর মারা গেছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
আবু বকর সদর দক্ষিণ উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের মেয়ের জামাই এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর কেন্ডা গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গত ২৭ অক্টোবর দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার সুইটির সঙ্গে আবু বকরের বিবাহ সম্পন্ন হয়। ৮ নভেম্বর আবু বকর শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। সন্ধ্যায় অলিরবাজার থেকে শ্বশুরবাড়ি ফেরার সময় আব্দুল্লাহপুর গ্রামের কিশোর গ্যাং সদস্য ফজলে রাব্বি ও পারভেজের সঙ্গে গায়ে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে তার শ্যালক শান্তের বাগ্বিতণ্ডা হয়।
কিশোর গ্যাং সদস্যরা শান্তকে মারধর করলে প্রতিবাদ জানান আবু বকর। শ্যালককে বাঁচাতে এগিয়ে এলে ওই দুই কিশোর গ্যাং সদস্য আবু বকরের বুকে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রায় এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়েছে।
ওই হামলার ঘটনায় ৯ নভেম্বর রাব্বি ও পারভেজকে আসামি করে সদর দক্ষিণ থানায় সুমাইয়া আক্তার সুইটি বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে এসে জামাই নিহতের ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শুক্রবার বিকেলে তার লাশ চৌদ্দগ্রামে বাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।
নিহতের শ্বশুর বলেন, একটি হত্যার ঘটনা দুটি পরিবারকে তছনছ করে দিয়েছে। আমার মেয়ের জামাতার তো কোনো অপরাধ ছিল না। তাকে কেন খুন করা হলো। মেয়েটা বিধবা হয়ে গেল। আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানান তিনি।
সদর দক্ষিণ থানার ওসি মোহাম্মদ সেলিম জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তারা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।