জনসংখ্যায় কানাডার তৃতীয় বৃহত্তম শহর কেলগেরি। প্রায় ১১ লক্ষ জনসংখ্যার এই শহরটিতে বাংলা ভাষাভাষীর সংখ্যাটিও কম নয়। ক্রমবর্ধমান এ শহরটির প্রতি অভিবাসীদের আকর্ষণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি ছোট ছোট স্যাটেলাইট শহরগুলোতে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের সঠিক পরিসংখ্যান নেই বললেই চলে।
এ বিষয়ে প্রদেশটির মাল্টিকালচারইজম এসোসিয়েট মিনিস্টার মুহাম্মদ ইয়াসিন জানান, ‘এ শহরে বাংলাদেশী অভিবাসীদের সংখ্যাটি এখন প্রায় ৩০ হাজার।’
বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কন্স্যুলার সেবার চাহিদা। কানাডার বাংলাদেশ হাই কমিশন, অটোয়া আর টরন্টো কনসাল জেনারেলের অফিস, কমিউনিটি সংগঠনগুলোর অনুরোধে দেশটির বিভিন্ন শহরে ক্যাম্প করে সেবা প্রদান করে। ইতিপূর্বে দ্বি-বার্ষিক ভিত্তিতে একবার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হলেও, হাল আমলে বছরে একবার সেবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মাত্র দু’ মাস আগে কেলগেরি শহরে দুদিনে প্রায় সাতশ সার্ভিস দিয়েছে টরন্টো কনসাল জেনারেলের অফিস। সেবা প্রার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় কয়েক হাজার।
বাংলাদেশ কানাডা এসোসিয়েশন অফ কেলগেরির সভাপতি, ইকবাল রহমান বলেন, ‘নভেম্বরের ১৬ ও ১৭ তারিখ অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের একটি টিম স্থানীয় বাংলাদেশ সেন্টারে সকাল সন্ধ্যা কন্স্যুলার সেবা প্রদান করবে। নতুন পাসপোর্ট, পাসপোর্ট এর নবায়ন, নো-ভিসা, পাওয়ার অফ এটর্নিসহ বিবিধ কার্যক্রমের জন্য ইতিমধ্যে প্রায় ১২শ’ অভিবাসী রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন। সীমাবদ্ধতার কারণে এর চেয়ে বেশি সেবা প্রধান সম্ভব নয় বিধায়, চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আর কোন রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করা যাচ্ছে না।’
বাংলাদেশ হাইকমিশন ও টরন্টো মিশনের সেবায় স্থানীয় বাংলাদেশি অভিবাসীরা উচ্ছ্বসিত। অতীতে নানারকম জটিলতা থাকলেও, পাসপোর্ট, নো-ভিসা প্রাপ্তি সহজিকরণে প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে দারুণ আগ্রহ ও উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ইতিমধ্যে সর্বোচ্চ সেবা প্রাপ্তির লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ সেন্টারে তাঁদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
বিসিএওসির পক্ষে অন্যতম সমন্বয়কারী সাইফুল আলম মিশন বলেন, ‘কমিউনিটির চাহিদা বিবেচনায় মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে, আমরা দ্বিতীয়বারের মতো কন্স্যুলার সেবার আয়োজন করেছি, তবুও সকল সেবা প্রার্থীকে বিবেচনায় নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।’
বিসিএওসির সাধারণ সম্পাদক আসিফ হোসেইন বাংলাদেশ হাইকমিশন ও টরন্টো কন্স্যুলেট জেনারেলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘কেলগেরী শহরে একটি কনসুলেট অফিস স্থাপন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।’
কমিউনিটি সংগঠক মেহেদী হাসান রনি বলেন, ‘কেলগেরী শহরে একটি বাংলাদেশ কন্স্যুলার অফিস স্থাপন এখন সময়ের দাবি। বৈদেশিক রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য মাত্রায়ও এটি একটি অন্যতম উৎস হতে পারে।’