নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব ধরনের সবজি। দু'টি সবজির কেজি একশ' টাকার ওপরে। কয়েকটির দাম একশ' টাকার কাছাকাছি। মাত্র একটি সবজি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ টাকার নিচে। আর নিত্যপণ্যের বাজারে কোনো লাগাম নেই বললেই চলে। চাল, আটা, আলু ও পেঁয়াজসহ সবকিছুই দাম বেশি।
শুক্রবার (২৩ জুন) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, এখনো চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। গত সপ্তাহের মতো পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। রসুনও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা এক কেজি রসুন কিনতে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা গুনতে হচ্ছে। পাওয়া যাচ্ছে না চীনা আদা। আর দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা। বাজারে সবচেয়ে কম দামের সবজি পটল। এক কেজি পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কাঁচা পেঁপেও বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কাঁচা কলা বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা হালি।
হঠাৎ করে বেড়ে গেছে কাঁচা মরিচের দাম। মাত্র ২৫০ গ্রাম বিক্রি করছেন ৬০ থেকে ৭০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে এটি বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা বিক্রি করেছি। শুক্রবার আড়তে যে দাম তাতে ৭০ টাকার নিচে ২৫০ গ্রাম কাঁচামরিচ বিক্রি করা সম্ভব না। বৃষ্টির কারণে অনেক গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া কোরবানির কারণে পরিবহন সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এজন্য দামের ওপর প্রভাব পড়েছে।
২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বাজারে মোটা চালের দাম কেজিপ্রতি সর্বনিম্ন ৩০ টাকা ছিল। গত জানুয়ারিতে তা ছিল ৪৬ থেকে ৫২ টাকা। এখন তা ৪৮ থেকে ৫০ টাকা। একইভাবে বেড়েছে সরু চালের দামও। ২০২০ সালের শুরুতে এক লিটারের এক বোতল সয়াবিন তেলের দাম ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকা। এখন তা ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা। চিনি, আটা, মসুর ডাল, মাছ, ডিম, মাংসের ক্ষেত্রে চিত্রটি মোটামুটি একই। বেড়েছে সাবান, শ্যাম্পু, টুথপেস্ট, টিস্যুসহ নিত্যব্যবহার্য পণ্যের দামও।
দেশে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকে ২০২০ সালের প্রথম ভাগ থেকে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটে। জ্বালানি তেল, গ্যাস ও খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। এতে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি বাড়তে থাকে। ফলে খাদ্যপণ্য, শিল্পের কাঁচামাল, প্রাণিখাদ্য-সবকিছুর দাম বেড়েছে, যা বাড়িয়ে দিয়েছে জীবনযাত্রার ব্যয়।