বাড্ডায় গ্যাস বিস্ফোরণ, দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু

রাজধানীর বাড্ডা থানার দক্ষিণ আনন্দ নগরের আনসার ক্যাম্পের পাশে একটি বাসার রান্নাঘরে জমে থাকা গ্যাস বিস্ফোরণে দগ্ধ মঞ্জুরা বেগম (৩৫), শিশু তানজিলা (৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

রোববার (১৮ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ফিমেল হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এফএইচডিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান।

তিনি বলেন, গত শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় একই পরিবারের নারী শিশুসহ পাঁচজনকে আমাদের জরুরি বিভাগের নিয়ে আসা হয়। রোববার রাত সাড়ে ১০টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফিমেল এইচডিতে মারা যান মঞ্জুরা বেগম মারা যান। তার শরীরের ৬৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। এর আগে তার মেয়ে চার বছরের শিশু তানজিলা বিকেল ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার শরীরে ৬৬ শতাংশ হয়েছিল। তাদের মধ্যে তোফাজ্জল হোসেনের শরীরের ৮০ শতাংশ, শিশু মিথিলার শরীরের ৬০ শতাংশ ও শিশু তানিশার শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৬ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে দগ্ধ অবস্থায় তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। দগ্ধরা হলেন- তোফাজ্জল হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী মঞ্জুরা বেগম (৩৫), তাদের মেয়ে তানিশা (১১), মিথিলা (৭) ও তানজিলা (৪)। দগ্ধ তোফাজ্জলের বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদরের চিলা রং গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। বর্তমানে বাড্ডার দক্ষিণ আনন্দনগর আনসার ক্যাম্প বাজারের পাশে তৃতীয় তলা ভবনের নিচ তলায় পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি।