রাজধানীর উত্তর বাড্ডায় একটি ভাড়া বাসা থেকে সুমি আক্তার (২৭) নামে এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৬ জুন) রাতে উত্তর বাড্ডার সোনামিয়া মাতব্বর রোডের চ-১০০ নম্বর বাসার তৃতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, নিহত সুমি পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার বাসবুনিয়া গ্রামের মো. হানিফ হাওলাদারের মেয়ে। তিন মাস আগে কথিত স্বামী রাসেলের সঙ্গে উত্তর বাড্ডায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে ছিলেন। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। এ ঘটনায় সন্দেহের তীর ওই নারীর কথিত স্বামী রাসেলের দিকে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক তিনি।
নিহত সুমির বোনজামাই আরাফাত জানান, আমরা শুনেছি আমার শ্যালিকা রাসেল নামে একটি ছেলেকে বিয়ে করেছে। এরপর থেকে তার সঙ্গে আমাদের ওইভাবে যোগাযোগ ছিল না। গতকাল রাতে আমরা খবর পাই আমার শ্যালিকা মারা গেছেন। পরে গিয়ে দেখি তার অর্ধগলিত মরদেহ। আমরা যতদূর জানি রাসেল একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে চাকরি করতেন এবং আমার শ্যালিকা নাকি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ওই বাসায় রাসেলের আরেক ভাগ্নে সাকিব আসা-যাওয়া ছিল। কয়েক দিন আগে তিনি সৌদি আরব চলে গেছেন। আমাদের ধারণা রাসেল ও সাকিব দুজনে মিলেই কয়েক দিন আগে তাকে হত্যা করে পালিয়েছে। রাসেলকে গ্রেপ্তার করা গেলেই ঘটনার মূল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিছানার ওপর অর্ধগলিত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পাঁচ-ছয় দিন আগে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, রাসেলের সঙ্গে তার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। তবে, আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়নি। রাসেলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে ঘটনার পেছনের কারণ জানা যাবে।
এ ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।