হাতির আক্রমণে আহত চিকিৎসদের ঢাকায় আনা হলো

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে আহত বন্যহাতির আক্রমণে গুরুতর আহত ২ চিকিৎসকসহ ৩ জনকে ঢাকায় আনা হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের বিজিবির হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়।

শনিবার সকাল ১০টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার মায়ানমার সীমান্তবর্তী রাজারকুল থোয়াইংগ্যকাটা এলাকার বালুচড়া দক্ষিণের পাহাড়ে মাইন বিস্ফোরণে আহত হাতির চিকিৎসা দিতে গেলে হাতিটির আক্রমণে তিনজন গুরুতরভাবে আহত হন।

আহতরা হলেন- ডুলাহাজরা সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. হাতেম সাজ্জাত মো. জুলকারনাইন, গাজীপুর সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং সেভ দ্য ন্যাচার অব বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলা শাখার সদস্য সচিব মো. আতিকুর রহমান। বাকি আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

রামুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আলী নেওয়াজ জানান, গত রোববার মিয়ানমার সীমান্তের পাশে পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে হাতিটি গুরুতর আহত হয় এবং পরে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। খবর পেয়ে শুক্রবার কয়েকজন চিকিৎসকসহ বন বিভাগের ১৫ সদস্য নিয়ে তিনি রামু উপজেলার দারিয়ারদীঘি সংরক্ষিত বনে যান। সেখানে পৌঁছানোর পর হাতিটি তাদের আক্রমণ করে। এতে সবাই আহত হন। এমনকি হাতিটি বন্দুক কেড়ে নিয়ে বনে ছুড়ে ফেলে, যা পরে উদ্ধার করা হয়।

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আহত হাতিটির চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। বন বিভাগের কর্মীরা আহত হলেও তারা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক সরকার বলেন, মিয়ানমারের ভেতরে স্থলমাইন বিস্ফোরণে হাতিটি আহত হয় এবং সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।