ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কোন এলাকায় বাড়িভাড়া কত হবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ডিএনসিসির কার্যালয় নগর ভবনে এক গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য জানান তিনি।
বাড়িওয়ালা ও ভাড়াটিয়াদের ন্যায্যতা এবং অধিকার বিষয়ে এ বৈঠকের আয়োজন করে উত্তর সিটি করপোরেশন। এতে বাড়িওয়ালা, ভাড়াটিয়াসহ অংশীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্য ডিএনসিসির প্রশাসক এজাজ বলেন, কোন এলাকায় কত ভাড়া হতে পারে, সর্বোচ্চ কত, সর্বনিম্ন কত, আমরা সেটার একটি নীতিগত গাইডলাইন দেব। স্থানীয় জমির বর্তমান দামসহ সবকিছু মাথায় রেখে একটি সম্ভাব্য ভাড়ার তালিকা দেব। আইন হতে হবে বাস্তবসম্মত। আমরা এটি ডিসেম্বরের মধ্যে রেডি করতে পারবো আশা করছি, যেন নতুন বছর থেকে সবার সহযোগিতায় কার্যক্রমগুলো শুরু করতে পারি।
তিনি বলেন, ভাড়াটিয়ারা তাদের ভাড়া বাসায় যখন ইচ্ছা তখন প্রবেশ বা বাহির হতে পারবেন। বাসায় পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, ভূমিকম্প সহনীয়সহ সকল কম্প্লাইন্স মেনে ভাড়া দিতে হবে। হোল্ডিং ট্যাক্স ঠিকমতো না দিলে আমরা কোনো সেবা ওই বাড়িতে দিব না।
বৈঠকে ঢাকা উত্তরের প্রশাসক আরও বলেন, ভাড়াটিয়া ও বাড়িওয়ালাদের মধ্যে এগ্রিমেন্টের একটি দলিলের ফরমেট ওয়েবসাইটে দিয়ে দিব। রেসিডেন্সিয়াল এলাকায় কমার্শিয়াল কার্যক্রম বন্ধ করতে আমরা কাজ করব।
বাড়িভাড়া নির্ধারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা এলাকাভিত্তিক ভাড়া নির্ধারণ করে দিব। কোন এলাকায় সর্বোচ্চ ভাড়া কত হতে পারে তেমন একটা রেটকার্ড আমরা দিয়ে দিব।
তিনি আরও বলেন, অনেক বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে যে হারে ভাড়া নেন, সে অনুযায়ী হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান করেন না। তাই বাড়িওয়ালার হোল্ডিং ট্যাক্স সম্পর্কে ভাড়াটিয়াদের জানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা সিটি করপোরেশনকে রাখতে হবে।