পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে নিজ বাসার বেলকনি থেকে লাফিয়ে পড়েও বাঁচতে পারলেন না ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মঞ্জুর মোর্শেদ রাজু।
পুলিশি অভিযানের পর বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) গভীর রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার বিকালে তিনি মারা যান।
রাজুর স্ত্রী সাথী জানান, ৮ থেকে ১০ বছর ধরে রাজু রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। তিনি রাজনীতি থেকে সরে এসেছেন। তার নামে কোনো মামলাও নেই। ৫ আগস্টের পর তিনি স্বাভাবিক জীবনযাপন করছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে কোতোয়ালি পুলিশের একটি দল বাসায় আসে রাজুর খোঁজে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি দোতলার বেলকনি থেকে লাফ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন; কিন্তু লাফ দিতে গিয়ে পাশের একটি দেয়ালে লেগে তিনি মাথায় ও শরীরে আঘাত পান। পুলিশ চলে গেলে আশপাশের লোকজন রাজুকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে চরপাড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার মাথায় অস্ত্রোপচার হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার বিকাল ৩টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের গা-ঢাকা দেওয়া নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে অভিযানে নামে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। অভিযানের অংশ হিসেবে রাতে বাঘমারা এলাকায় রাজুর বাসায় অভিযান চালায় তারা। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে রাজু বাসার বেলকনি দিয়ে লাফ দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নাজমুস সাকিব জানান, পুলিশের গ্রেফতার অভিযান নিয়মিত বিষয়। ওই এলাকায় তাদের কোনো টিম অভিযানে ছিল কিনা সেটি এই মুহূর্তে তার জানা নেই। রাজুর মৃত্যুর খবরও জানি না।