কুমিল্লায় সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে গণনা। শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ সময় ১০৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এর পর কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোট গণনা করা হচ্ছে।
কেন্দ্রের ফলাফল নিয়ে যাওয়া হবে কুমিল্লা জিলা স্কুল অডিটোরিয়ামে। সেখানে রিটার্নিং কর্মকর্তা বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করবেন। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ডে পুলিশ, এপিবিএন ও আনসারের ২৭টি মোবাইল টিম, ৯টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ২টি রিজার্ভ টিম থাকছে। এছাড়া নিয়োজিত থাকছে র্যাবের ২৭টি টিম ও ১২ প্লাটুন বিজিবি।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চার স্বতন্ত্র প্রার্থী- তাহসীন বাহার, নূর-উর রহমান মাহমুদ তানিম, মোহাম্মত নিজাম উদ্দিন ও মো. মুনিরুল হক। ভোটার দুই লাখ ৪২ হাজার ৪৫৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১৮ হাজার ১৮২ জন, নারী এক লাখ ২৪ হাজার ২৭৪ জন ও হিজড়া দুজন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দির মধ্যে যারা থাকবেন, বিকেল ৪টার পরও তাদের ভোট নেওয়া হবে। ভোট শেষ হলে মোট ভোট পড়ার হার জানানো যাবে।
তিনি বলেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে ৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। নির্বাচনে গুলির ঘটনাসহ কিছু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটে। এসব ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করেছে আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী।
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনেই সবচেয়ে সাংঘর্ষিক ঘটনা ঘটেছে। এখানে ‘ছাত্রলীগ নেতার’ গুলিতে দুজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। মেয়র প্রার্থী মুনিরুল হক সাক্কু তার এজেন্টদের বের করে দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন।