প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় বিএনপির চাদ

প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় কারাবন্দী রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাদ। রোববার (২৪ মার্চ) বেলা একটায় চারঘাট উপজেলার মাড়িয়া গ্রামে তার মায়ের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে আবু সাঈদের মা আশরাফুন্নেছার দাফন সম্পন্ন হয়। বেলা দেড়টার দিকে দাফন শেষে পুলিশের প্রিজনভ্যানে করে তাকে আবার রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। সব মিলিয়ে তার প্যারোলে মুক্তির সময়সীমা ছিল মাত্র আড়াই ঘণ্টা।
 
গত শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল ৯টায় বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাদের মা আশরাফুন্নেছা ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। মায়ের মৃত্যুর পর জানাজায় অংশ নিতে প্যারোলে মুক্তির জন্য আবু সাঈদের পক্ষ থেকে তার আইনজীবী আবেদন করেন। পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আড়াই ঘণ্টার জন্য তার প্যারোলের মুক্তির আবেদন মঞ্জুর করেন।

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ পাহারায় রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আবু সাঈদ চাদকে জেলার চারঘাট উপজেলার মাড়িয়া গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। মায়ের জানাজা ও দাফনে অংশ নিতে আবু সাঈদ চাদের বাড়িতে ফেরার খবরে দলীয় নেতাকর্মীসহ স্থানীয় হাজারো মানুষ তার গ্রামের বাড়িতে সমবেত হয়। বিএনপি নেতা বাড়িতে পৌঁছালে নেতাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন দলটির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।

চাদের মায়ের জানাজার নামাজে বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক সহসম্পাদক শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, মহানগর যুবদলের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. সাইফুল ইসলাম মার্শাল, চারঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফকরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি নাজমুল হক, উপজেলা বিএনপির সভাপতি জাকিরুল ইসলাম বিকুল আলী, জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক শামীম সরকার, জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি তরিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১৯ মে রাজশাহীর বানেশ্বরে বিএনপির জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় আবু সাঈদ চাদের বিরুদ্ধে এক ডজনেরও বেশি মামলা করা হয়। এরপর ২৫ মে তাকে গ্রেপ্তার করে রাজশাহী মহানগর পুলিশ। এর পর থেকে তিনি কারাগারে। এর মধ্যে গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর অর্থ আত্মসাতের মামলায় আবু সাঈদকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন রাজশাহীর একটি আদালত। একই সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।