বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সাভারের গেন্ডা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতা হলেন মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার লাউতারা গ্রামের বদর উদ্দিন শেখের ছেলে শহিদুল ইসলাম ওরফে মুহিদুল মুহিত, শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার রামকৃষ্ণ পুর গ্রামের ইসমাইল মোল্লার ছেলে মো. সবুজ, ঢাকার সাভার উপজেলার টান গেন্ডা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে শরীফুজ্জামান শরীফ।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য জানান।

সংবাদ সন্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তাকৃতদের কাছ থেকে লুট হওয়া নগদ ২৯ হাজার ৩৭০  টাকা, তিনটি লুন্ঠিত মুঠো ফোন সেট ও একটি ছুড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাকৃত শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থানায় ১টি ও ঢাকা জেলার সাভার মডেল থানায় ১টি বাস জকাতি মামলাসহ মোট ৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

tangail

এর আগে, গত সোমবার রাতে ঢাকা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশে ছেড়ে আসা ইউনিক রোড রয়েলসের ‘আমরি ট্রাভেলসের’ একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। 

যাত্রীদের ভাষ্যমতে, সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাস ছাড়ে। রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে বাসে ডাকাতি শুরু হয়। তিন ঘণ্টা ধরে ডাকাতি শেষে ঘুরিয়ে একই জায়গায় বাসটি নিয়ে গিয়ে রাত ৩টা ৫২ মিনিটে ডাকাতেরা নেমে যায়। এরপর যাত্রীদের চাপের মুখে রাজশাহীর উদ্দেশে বাস ছাড়েন চালক। যাত্রীরা প্রথমে বাসটি নিয়ে মামলা করার জন্য টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানায় যান। সেখানে তখন ওসি ছিলেন না বলে তাদের ফিরিয়ে দেয়া হয়। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার পরে বাসটি বড়াইগ্রামে থানায় ঢোকানো হয়। এ ঘটনায় বাসের সুপারভাইজার, চালক ও চালকের সহকারীকে আটক করে পুলিশ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. আহসানুজ্জামান জানিয়েছেন। এদের মধ্যে সবুজ ও শরীফুজ্জামান আদালতে জবানবন্দি দিতে সন্মত হয়েছে। অপর আসামি শহিদুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।