ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে প্রবাসীর মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতের ছোঁড়া গুলিতে গোড়াই হাইওয়ে থানার রেকারের চালক তুহিন গুলিবিদ্ধ হন।
শনিবার (৩১ মে) ভোরে মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার পুষ্টকামুরী চরপাড়া বাইপাস এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জর্ডান থেকে শুক্রবার (৩০ মে) দিবাগত রাতে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আসেন জর্ডান প্রবাসী বিউটি আক্তার। রাতে পরিবারের লোকজনসহ তারা টঙ্গি এলাকা থেকে একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করেন।
রাত আড়াইটার দিকে তাদের মাইক্রোবাসটি ঘটনাস্থলে এলে পেছন থেকে আসা একটি হাইয়েজ এসে তাদের মাইক্রোবাসটির গতিরোধ করে এবং ৭-৮ জনের একটি ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে তারের জিম্মি করে ফেলে। এরপর তাদের সবাইকে জিম্মি করে ৫-৬ টি মেবাইল ফোন, নগদ ৭০ হাজার টাকাসহ তাদের মালামাল লুটে নেয়। এ সময় ডাকাতদের কাছে পিস্তল, পুলিশের ওয়াকিটকি, পুলিশের হ্যান্ট কাপ, বন্ধুক, চাপাতি, ছুরি, লাঠি ও দা ছিল। তারা চিৎকার করলে ডাকাতরা গুলি করার হুমকি দেয়।
এদিকে, মহাসড়কে টহল পুলিশ ও হাইয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনা দেখে ডাকাতদের ধাওয়া করলে তারা গুলি ছুরে। এ সময় ডাকাতের ছোঁড়া গুলিতে হাইওয়ে থানার রেকার চালক তুহিন মিয়া গুলিবিদ্ধ হয় এবং ডাকাতরা সদস্যরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালক মুস্তাকিন ও হেলপার জুয়েলকে সন্দেহ করছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। গুলিবিদ্ধ তুহিনকে কুমুদিনী হাসপাতারে ভর্তি করা হয়েছে।
কুমুদিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তুহিন বলেন, ডাকাত দলে কমপক্ষে ১০-১২ জন ছিল। তারা এলোপাথারি গুলি ছুরেলে সেটি তার হাতে বিদ্ধ হয়। গুলি বের করা হয়েছে। অল্পের জন্য তিনি প্রাণে বেঁচেছেন
বিষয়টি নিশ্চিত করে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাসেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ডাকাত দলের ফেলে যাওয়া একটি হাইয়েজ ও প্রবাসীর মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ একজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।