‘দেশি মুরগি খেতে না পারা’ আলোচিত শিক্ষিকার হাজীগঞ্জে পাঁচতলা ভবন

‘দেশি মুরগি খেতে না পারা’ বক্তব্যে দেশজুড়ে আলোচনায় আসা শিক্ষিকা শাহিনুর আক্তার শ্যামলীর রয়েছে হাজীগঞ্জ বাজারের ডিগ্রি কলেজ রোডে অবস্থিত পাঁচতলা বিশিষ্ট একটি বাড়ি। স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘শ্যামলীর ভবন’ নামে।

শাহিনুর আক্তার শ্যামলী হাজীগঞ্জ গার্লস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক এবং হাজীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষক সমিতির সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তার স্বামী কচুয়া উপজেলার রহিমানগর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

সম্প্রতি রাজধানী ঢাকায় শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে অংশ নেন তিনি। আন্দোলনের মঞ্চে এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্যামলী বলেন, ‘শিক্ষকরা দেশি মুরগি খেতে পারেন না।’ মুহূর্তেই তার এ বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাহিনুরের গ্রামের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাসারা গ্রামের মোল্লা বাড়িতে। সেখানে তার একতলা পাকা বাড়ি রয়েছে। শ্বশুরবাড়ি কুমিল্লার বড়ুয়া গ্রামে রয়েছে দুইতলা ভবন। হাজীগঞ্জ বাজারের ‘আরাম কটেজ’-এর পাশে তার নিজস্ব পাঁচতলা ভবন এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তার বড় ভাই সালাউদ্দিন মোল্লা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন, ছোট বোন সোহেলি চট্টগ্রামের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তাদের একমাত্র মেয়ে ঢাকায় উচ্চমাধ্যমিকে পড়ছেন, আর ছোট ছেলে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র।

সহকর্মী ও স্থানীয় শিক্ষকরা জানান, শাহিনুর আক্তার শ্যামলী বহুদিন ধরেই শিক্ষক সমাজের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সক্রিয়। দাবি আদায়ের ময়দানে তিনি আপোসহীন নেতৃত্বের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। হাজীগঞ্জের সীমা ছাড়িয়ে তার নেতৃত্ব ছড়িয়েছে জাতীয় পর্যায়েও।

বিতর্কিত মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শাহিনুর বলেন, ‘আমি ব্যক্তি শাহিনুর হিসেবে নয়, শিক্ষক সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে কথা বলেছি। আমার বক্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল দেশের সাধারণ শিক্ষকদের দুরবস্থা ও বঞ্চনার চিত্র তুলে ধরা।’