পিরোজপুর নেছারাবাদের জলাবাড়ী ইউনিয়নে প্রায় সাত কিলোমিটার খাল খননে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন খালের প্রায় সাত কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকার বেশিরভাগ স্থানে পাড় ড্রেসিং (পাড় খনন) করা হলেও উপরে কোনো মাটি ওঠানো হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তবে নকশা অনুযায়ীই খাল খনন করা হয়েছে বলে দাবি করে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
পিরোজপুর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের টেকসই ক্ষুদ্রাকার পানিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রায় ৮০ লাখ টাকার ব্যয়ে ওই খাল খননের কাজ করানো হয়েছে। এ প্রকল্পের অধীনে জলাবাড়ি ইউনিয়নের পাঁচটি খালের ছয় দশমিক ৯৫০ কিলোমিটার খনন কাজ পরিচালিত হয়। ‘জলাবাড়ী পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি’ নামে একটি সংগঠন খালের খননকাজ বাস্তবায়ন করে।
অভিযোগ রয়েছে, তবে সঠিকভাবে খাল খনন করা না হলেও ইতেমধ্যে বরাদ্দের অধিকাংশ টাকাই তুলে নেয়া হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।
পূর্ব জলাবাড়ি গ্রামের কৃষক রিপন হালদারের অভিযোগ, পূর্ব জলাবাড়ী হাই স্কুলের পেছনের ৩০০ মিটারের বেশি খালে পাড় ছাঁটাই করে কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে। এতে কোনো সুফল আসবে না।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কয়েকজন জানান, মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে খাল খননের কাজে প্রাথমিক পর্যায়ে প্রি-ওয়ার্ক মাপে ফাঁকফোকর রেখে নকশা ও প্রাক্কলন তৈরি করেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা।
অভিযোগের বিষয়ে পানি ব্যবস্থাপনা সমিতির সম্পাদক বিপ্লব হালদার অভিযোগ করে বলেন, তাকে এড়িয়ে সমিতির সভাপতি সুব্রত হালদার নানা ছলচাতুরী করে এককভাবে প্রকল্পের কাজ করেছেন।
অভিযুক্ত সুব্রত কুমার হালদার অবশ্য তা স্বীকার করেননি। তিনি দাবি করে বলেন, নকশা মতো কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। সঠিকভাবে কাজ করলেও প্রকল্প প্রণয়ন থেকে শেষ পর্যন্ত বরাদ্দের ৩০-৩৫ শতাংশ টাকা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে বিল তুলতে হয়।
খাল খননকাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা পিরোজপুর এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী মো. সোহেল রানা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নকশা মতো সঠিকভাবে খাল খনন করা হয়েছে। নকশার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।