ভাণ্ডারিয়ায় ধর্ষণ মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন পুলিশ সুপার

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা পুলিশ সুপার খাঁন মোহাম্মদ আবু নাসের।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ১১টায় যথাযথ তদন্তের লক্ষ্যে ভাণ্ডারিয়া বাইপাশ সড়কে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে স্থানীয় বাসিন্দা ও গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আলাপ করেন তিনি।

পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনায় জড়িত কেউ পার পাবে না। যারা ধর্ষণের সাথে জড়িত, ভিডিও ধারণ ও প্রচারে ভূমিকা রেখেছে, তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক দ্রুত জড়িতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া সার্কেল) মো. সাখাওয়াত হোসেন, ভাণ্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, ভাণ্ডারিয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম মিলনসহ অন্যান্যরা।

উল্লেখ্য, গত সোমবার ভান্ডারিয়া থানার হাসপাতাল মোড়ে ফারুকের দোকানের সামনে রাত ৩টার দিকে একটি বেঞ্চের ওপরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে রিকশাচালক মো. জাহিদ জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। সেই ধর্ষণের ভিডিও সাংবাদিক মো. জিয়াউল ইসলাম জিহাদ ধারণ করেন। পরে ওই সাংবাদিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ধর্ষকের কাছে অর্থ দাবি করে। 

পরবর্তীতে সাংবাদিক জিহাদ নিজের ফেসবুকে ভিডিওটি আপলোড করলে পুলিশের নজরে আসে। পরে রিকশাচালক মো. জাহিদ ও সাংবাদিক মো. জিয়াউল ইসলাম জিহাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।